মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি

প্রাণতোষ তালুকদার

বৃক্ষরোপণ মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩০ লক্ষ শহীদদের স্মরণে ৩০ লক্ষ বৃক্ষরোপণের ঘোষণার প্রতি অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। আজ (১৯ জুলাই ২০১৮) সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়জ্-

গতকাল (১৮ জুলাই) জতীয় বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ৩০ লক্ষ শহীদের স্মরণে সারা দেশে একযোগে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩০ লক্ষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন।

২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির রজতজয়ন্তী উদযাপন এবং ৮ম জাতীয় সম্মেলনে সরকারের প্রতি মুক্তিযুদ্ধের মহান শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পাশাপাশি বিশ্ব উষ্ণায়নজনিত পরিবেশ বিপর্যয় প্রতিহতকরণের জন্য ৩০ লক্ষ বৃক্ষ রোপণের কর্মসূচি ঘোষণা করে সরকারকে এ ক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানিয়েছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

গত বছর ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবসে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ কর্তৃক বঙ্গভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এডভোকেট মোহাম্মদ আবদুল হামিদ আনুষ্ঠানিকভাবে সারা দেশে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের শহীদদের স্মরণে ৩০ লক্ষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেছিলেন বঙ্গভবনের প্রাঙ্গণে ২৫টি বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে।

এরপর একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতাগণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরূপ আহ্বান জানিয়েছিলেন। ‘বিশ্ব উষ্ণায়নজনিত পরিবেশ বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমূহ সম্ভ্রম অর্জন করেছেন এবং জাতিসংঘ কর্তৃক পুরস্কৃতও হয়েছেন। তাতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ৩০ লক্ষ শহীদের স্মরণে ৩০ লক্ষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ঘোষণার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাবার পাশাপাশি জাতীয় সংসদের সকল সম্মানিত সদস্যের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেনজ্জ আগামী নির্বাচনের আগে তাঁরা তাঁদের নির্বাচনী এলাকায় প্রত্যেকে যদি ১০ হাজার বৃক্ষরোপণ করেন তাহলে পাঁচ মাসের ভেতর ৩০ লক্ষ শহীদের স্মরণে ৩০ লক্ষ বৃক্ষরোপণ সম্ভব।

একইভাবে বিদেশে বাংলাদেশের সকল দূতাবাসে প্রতীকীভাবে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। বিভিন্ন দেশের যেসব বিশিষ্ট নাগরিককে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয়ভাবে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে সে সব দেশে আমাদের দূতাবাসে এবং অন্যান্য স্থানে গণহত্যার ভিকটিমদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ অভিযানে তাঁদের অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে বলে মনে করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্যোগী হলে পরিবেশ বিপর্যয় প্রতিরোধে বাংলাদেশের এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিকভাবেও প্রশংসিত হবে বলে জানান একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

বিবৃতিদাতা
বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, অধ্যাপক অজয় রায়, কর্ণেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী, লেখক সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী, সাংবাদিক কামাল লোহানী, অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক অনুপম সেন, কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুননবী, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, স্থপতি রবিউল হুসাইন, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, ক্যাপ্টেন সিহাবউদ্দিন বীরউত্তম, ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদ বীরউত্তম, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অবঃ), ডাঃ আমজাদ হোসেন, সমাজকর্মী নূরজাহান বোস, ড. নূরন নবী, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদজায়া সালমা হক, কলামিস্ট সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, সাংবাদিক চলচ্চিত্রনির্মাতা শামীম আখতার, অধ্যাপক আবুল বারক আলভী, সমাজকর্মী কাজী মুকুল, সমাজকর্মী খোন্দকার আবদুল মালেক শহীদুল¬াহ, ড. ফরিদা মজিদ, সমাজকর্মী আরমা দত্ত, এডভোকেট খন্দকার আবদুল মান্নান, অধ্যাপক আয়েশ উদ্দিন, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ডাঃ শেখ বাহারুল আলম, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, ডাঃ ইকবাল কবীর, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল-ই এলাহী, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান শহীদ, এডভোকেট আবদুস সালাম, সমাজকর্মী আক্কাস হোসেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক আবদুল গফ্ফার, কবি জয়দুল হোসেন, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, মুক্তিযোদ্ধা কাজী লুৎফর রহমান, সাবেক ফুটবলার শামসুল আলম মঞ্জু, সমাজকর্মী কামরুননেসা মান্নান, সাংবাদিক ফজলুর রহমান, সঙ্গীতশিল্পী জান্নাত-ই ফেরদৌসী লাকী, সাংবাদিক শওকত বাঙালি, উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, সমাজকর্মী সরদার জাকির হোসেন খসরু, ডাঃ নুজহাত চৌধুরী শম্পা, লেখক আলী আকবর টাবী, অধ্যাপক উত্তম কুমার বড়–য়া, সমাজকর্মী চন্দন শীল, এডভোকেট দীপক ঘোষ, সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেন, ডাঃ মামুন আল মাহতাব, শহীদসন্তান তৌহিদ রেজা নূর, শহীদসন্তান শমী কায়সার, শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, শহীদসন্তান তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন, মানবাধিকারকর্মী তরুণ কান্তি চৌধুরী, মানবাধিকারকর্মী আনসার আহমদউল¬া, মানবাধিকারকর্মী স্বীকৃতি বড়–য়া, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, অধ্যাপক সুজিত সরকার, সমাজকর্মী হারুণ অর রশীদ, এডভোকেট কাজী মানছুরুল হক খসরু, সমাজকর্মী মোঃ আমিনুর জামান রিংকু, এডভোকেট মালেক শেখ, সহকারী অধ্যাপক তপন পালিত, সমাজকর্মী শিমন বাস্কে, সমাজকর্মী শেখ আলী শাহনেওয়াজ পরাগ, সমাজকর্মী সাইফ উদ্দিন রুবেল প্রমুখ।