কোনো কোনো সকাল যদিও মেঘশূন্য
আকাশ বৃষ্টি বিহীন
শীতের কুয়াশা নেই
নেই গ্রহণের তিথি
প্রকৃতিতে নেই কোনো ঝড়ের তাণ্ডব
তবু এক অতর্কিত অন্ধকারে
ডুবে যায় সমস্ত আলোর ময়দান।
তুমি একে বলেছিলে ‘নিদারুণ দুঃসময়’-
প্রমত্ত পদ্মায় তোমাদের পারাপারী নৌকা থিতু হলে
তাই রক্তের দাগ মুছে দিয়ে তোমরা দেয়ালে সাজাও
বিলাসী বেশভূষা,
জীবনের আয়োজনে শোকের সঙ্গীত রেখে
গ্রামোফোনে জুড়ে দাও
প্রেমের কমলাগীতি।
কোনো কোনো ভোর এমনই অন্ধকার
অতর্কিতে থেমে যায়
রাত জাগা পাখিদের অকারণ ভোরের কোলাহল-
ঘাপটি মারা পরাস্ত অজগর
পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে
পাহাড়ের শরীর বেয়ে নেমে আসে আততায়ী লাভা হয়ে
গড়িয়ে যাওয়া পূণ্য রক্তপ্লাবন ঢেকে দিয়ে
জ্বালিয়ে,পুড়িয়ে গলিয়ে দেয় মোমের শুভ্র শরীর।
তুমি একে অসময় বল-
বল ”দারুন কষ্টের!”
তাই তপ্ত লাভার নদী শুকিয়ে নুড়ি হলে
ছড়িয়ে ছড়িয়ে দাও
তোমাদের রাঙ্গানো মাটির পথে পথে
ভুলে যাও বারুদের ঘ্রাণ, শোণিতের রঙ,
পরাজিত শকুনের হাঙ্গুরে কামড়।
কোনো কোনো অন্ধকারের রেশ কাটে না কোনো দিন
শতাব্দীর পর শতাব্দী পেরোলেও-
এক জোড়া ভারী বুট পায়ে
আমারও ইচ্ছে করে
অন্ধকার তাড়িয়ে বেড়াই
অবিরাম-
তোমাদের গোপন তৃপ্তির তপোবনে।