সেই স্বপ্নের পুরুষ,
নারী হৃদয় চায় যার কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত হোক–
অন্য পৃথিবীতে
পোশাক খোলার দরকার নেই আজ!
চল কোথাও স্থিত হয়ে বসি;
কাঠবেড়ালির লুকোচুরি
কিংবা বনমোরগের ঝগড়া দেখি।
মাংস শরীরে আবৃত এক কুঁড়ি,
ঘুমন্ত ঐ কুঁড়িকে দাও
শ্বেত পায়রার ছাড়পত্র।
পোশাক খোলার দরকার নেই আজ!
চলো, শুনি রাখালিয়া বাঁশি–
হাফ-প্যান্ট আর ফ্রক নিয়ে
তর্জমা সারাদিন!
হেঁটে বেড়াই নদীর পাড়ে,
নতুন করে সূর্য দেখি।
পোশাক খোলার দরকার নেই আজ!
মুখে মেখে নাও ঘাসরেণু,
আদিমতার সবুজ ফাঁকে
মিলবো না আজ বিন্দুতে।
নাভিতে ছোঁয়াও খড়ের পরশ–
হাঁ করে নিই সোঁদা মাটিরগন্ধ।
পোশাক খোলার দরকার নেই আজ!
শাড়িতে ফোটাও গাঙ-নদী জল,
ওড়ানো আঁচলে বনস্পতি;
মিশে যাক মাছরাঙা মযূরাক্ষী;
আর ভেসে যাই হলুদপাতা হয়ে
তোমার শাড়ির কোলে।
চন্দননগর, কোলকাতা