মুখ দিয়েছেন যিনি-২: পিতার অজ্ঞতা ও অসভ্যতার শিকার শিশু আজীজ

পিতার হাতে পণবন্দী শিশু আজীজ

“মুখ দিয়েছেন যিনি” এই ক্যাটাগরিতে এ ধরনের নিউজগুলি প্রকাশিত হবে। সমাজে একটা কথা প্রচলিত আছে, এটা প্রায় সব সমাজেই আছে, এটা আসলে সেই প্রাগতৈহাসিক যুগের কথা যখন কর্মক্ষম যুবক পাওয়াটা খুব কঠিন হয়ে যেত, আর শিকার এবং যুদ্ধের জন্য প্রয়োজন হতো এ ধরনের যুবক।

শিশু মৃত্যুর হার, এবং প্রায়ই যুদ্ধ খুনোখুনি লেগে থাকায় তখন এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো। তাই হয়ত মানুষকে জন্মদানে উৎসাহিত করতে ঐ প্রবাদ বাক্যটি প্রচলিত হয়েছিল।

কিন্তু আধুনিক যুগ তেমন নয়, মানুষ এখন খুবই লক্ষ্যভেদী, তাই পূর্বের সেই প্রবাদটি এখন ধারণ করার অর্থ হচ্ছে, পরিকল্পনা ছাড়া একটা মানব শিশু পৃথিবীতে এনে আজীজের পরিণতি দেওয়া।


মা মারা যায় আজীজের বয়স যখন মাত্র তিন মাস। আজীজের বড় ভাইবোন রয়েছে আরও চারজন। এরপর আজীজের পিতা আবার বিয়ে করে। বিয়ে করে নোয়াখালি চলে যায়, ওখানেই আজীজ সৎ মায়ের কাছে বড় হয়।

আজীজ পড়াশুনা করেনি মোটেও। একটা মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছিল, কিন্তু সেখানেও আর যাওয়া হয়নি। শুধু নামটা লিখতে পারে আজীজ, ওর বর্তমান মা ওকে নাম লেখা শিখিয়েছে। মাস খানেক হলো শিশুটি রিক্সা চালানো শুরু করেছে। সৎ মা নয়, মূলত ওর পিতায় ওকে এই পেশায় নামিয়েছে। এর আগে ও চায়ের দোকানে ছিল, অর্থাৎ আট বছর ধরে আজীজ পিতার পাপের বোঝা বইছে। 

সকালে ওর পিতা রিক্সা চালায়, বিকালে ওকে নামিয়ে দেয়। ঐ সময় সে বাসায় থাকে। আজীজ যা আয় করে তা ওর মায়ের কাছে দেয়, মায়ের কাছ থেকে চলে যায় পাষণ্ড পিতার কাছে। শুধু আজীজ কেন অনেক শিশুই এভাবে পিতার অজ্ঞতা ও অসভ্যতার শিকার এদেশে, বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে। 

আজীজের অন্য ভাইবোনেরা একটু বড় হয়েই  বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে কাজ করে, আজীজ থাকে তার পিতা এবং বর্তমান মা এবং তার সন্তানদের সঙ্গে। শুনতে পারেন আজীজের সাক্ষাৎকারটি—