শাহরিয়ার অভির কবিতা

গোপালগঞ্জ

মেঘমালা

বিবর্ণ রঙ মেখে
মেঘের পিছু পিছু্
একটা নীল চিল;
বেদনা আর আনন্দকে
পিছু ফেলে
পাক খায় নিরবধি।

তবুও জল,
বৃষ্টির অপেক্ষায় আবারও বাষ্প হয়।
নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে
আর একটি সাদা বক
মাছেদের পরিচয় ভুলে
চেয়ে থাকে আকাশ পাণে।

হে বৃষ্টি তবে এসো
ভিজিয়ে নাও আমাকে মেঘের দলে
কাক ভোরে রোদ যখন
তোমার চোখে।

অবয়বহীন

নিষ্ঠুর জন্ম বিভৎস অন্ধকারে
বিস্তৃত হাহাকার স্লোগানে- মিছিলে
লক্ষ মাইল নিয়তিতাড়িত উচ্ছাস
চন্দ্রতাড়িত ক্ষতচিহ্ন পথের শরীরে ।

বুঝেছি কিছু রহস্য নিরাময়হীন রোগে
পরিত্রান নেই আত্মার চিৎকারে
সমুদ্রস্রোত ও নদীর জলে রক্তের দাগ
একরাশ স্বপ্ন পড়ে আছে বালিশের পাশে ।

শীতলতা ছড়িয়ে বিপ্লবীদের ইস্কুল
রাইফেল হাতে বর্নাঢ্য যুদ্ধের কল্পনা
ভয়ঙ্কর রুপান্তর পতনপক্রিয়ায়
রুদ্ধ হয় নির্বাক জীবনবিন্যাস ।

যাযাবর

নির্বোধ মেঘ ঘুরে বেড়ায় ছায়া হয়ে
প্রজাপতির পাখা লুকিয়ে পড়ে
বিপরিত সময় জালে ।
ঝরা পাতা বাধন ভোলে…….

স্বজনহীন সন্ধায় বিমূর্ত সপ্নরা ঘুরে বেড়ায়
হতাশার ঘাটে পারাপার হয় স্মৃতিরা
তবুও চেয়ে থাকি জীবনের পথে,
সংকটময় সময় পরি-ভ্রমন করে অস্হিরতা
অসাঢ় আততায়ী ভবিশ্যত ।

কিছু করার ছিল ! অথবা না !
দিগন্তের মেঘ কাছাকাছি হলে
ভাবনার অবকাশ নেই
কি ক্ষত হৃদয়ের চারপাশে
জমানো ব্যাথা কোথায় ? কোন অস্হিতে ?
অনুভূতির ব্যারিকেড ।

আমি পথ কুড়ানো মানুষ

ভ্রান্ত পৃথিবীর গর্ত খুড়ে
বুকভরা আগুন নিয়ে পথ থেকে অন্যপথে
নামহীন কোন পথিক
নামহীন কোন বৃক্ষের কাছে
বিপন্ন তাড়নায় স্বপ্ন থেকে অন্যস্বপ্নে।

নদীর পাশে এক অতৃপ্ত নিস্তব্ধতায়
চেতনাশৃঙ্খল খল খল হাঁসিতে লুটলে
রংধনু তার আয়নাতে নিজেকে সাজিয়ে রাখে।

অথবা
ক্রোধহীন খুনি মৃতের কান্না ও অশ্রু পান করে
জেগে থাকে দাসআত্মার স্বপ্ন প্রতিযোগিতায়।
ঠিক তখনই, ঘরের চাবি ভেঙে পাগল
বিপন্ন মুদ্রার সাইনবোর্ডে ঠিকানা খুঁজে
ক্রমশ স্বপ্নের গভীরে স্বপ্নের বুকে ব্যথা নিয়ে
শীতল শবের মত আড়ষ্ট হয়।

আর, সান্ধ্যবাতাসে বিক্ষত ঘুড়ি
চোখের মাঝে জৈব স্মৃতি নিয়ে
নিজেকে ক্রীতদাস ভেবে বাড়ি ফেরে।


শাহরিয়ার অভি