রহিম যেটা দেখছে পানি, করিম সেটা দেখছে কালি,
প্রশংসা যার করছে যদু, মধু তাকে দিচ্ছে গালি !
তুই যেটাকে লম্বা দেখিস, অন্যে সেটা দেখছে গোল,
এক অরূপের অজস্র রূপ, বড্ড লাগায় গণ্ডগোল !
দুই বন্ধু:-
“পষ্ট এটা দেখছি হলুদ! নিজের চক্ষে দেখছি যে!
কি করে নীল বলছিস তুই? ভালো করে দ্যাখ নিজে!
জবাব –
“হলুদ এটা? বলিস কি রে?? দিব্যি দেখছি নীল ও রং!
হায় হায় হায় রং-কানা তুই ! চশমা নে রে তুই বরং !!”
সবার চোখেই একেক রঙের চশমা, তা কেউ পাইনে টের,
সবাই একই রঙের দেখি – একই মোক্ষ – এক রঙের।
দুই চশমায় মিললে মধুর – “স্লামালেকুম!” “সুপ্রভাত” !!
না মিললেই “ধর শালাকে”, “মার শালাকে”-র সূত্রপাত”।
নিজের নিজের বিশ্বাসটাই ” অমোঘ সত্য” রূপ ধরে,
নেই পরোয়া কে হয় তাতে খুশী, কে হয় ক্ষুব্ধ রে !
আসল সত্য কোথায় থাকে, কে জানে তার হয় কি রূপ,
বিশ্বাসেরই “সত্যে” সবাই হয়ত খুশী, নয় বিরূপ।
সত্য হাসে সুদুর থেকে। হায়রে ধরার শ্রেষ্ঠ জীব !
বন্ধ বোধে অন্ধ ক্রোধে তুই বড় নিকৃষ্ট জীব !!
মাতাল ভাবে, সে ঠিক আছে ! দুনিয়াটাই খাচ্ছে টাল,
বিশ্বাসেরই সত্য খেয়ে আমরা সবাই পাঁড় মাতাল !!!!