নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার এসিল্যান্ড আবু আসলামের নামে ৫৬টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। রাজধানীসহ দেশের একাধিক স্থানে বাণিজ্যিক ব্যাংকে খোলা হয়েছে এসব হিসাব।
দৈনিক সমকাল জানায়, তার নামে প্রায় ৪১ লাখ টাকার এফডিআর, প্রায় ১২ লাখ টাকার শেয়ারসহ নানা সম্পদের সন্ধান মিলেছে। এ ছাড়া তার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন আরও সম্পদ রয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান চালিয়ে ওই সম্পদের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছে।
সমকাল জানায়, আবু আসলামের ৫৬টি ব্যাংক হিসাব এবং নামে-বেনামে অবৈধ সম্পদের সন্ধান পেয়ে বিস্মিত হয়েছেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা। ওই সব ব্যাংক হিসাবে কত টাকা জমা করা হয়েছে, তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে শিগগিরই বের করা হবে।
দুদকের এক পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, একজন সরকারি চাকরিজীবীর ৫৬টি ব্যাংক হিসাব, লাখ লাখ টাকার এফডিআর, শেয়ার থাকতে পারে না। ওই সব সম্পদের উৎস কী, তাকে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানাতে হবে। হিসাবে গরমিল হলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
সূত্র জানায়, এরই মধ্যে দুদক থেকে পাঠানো নোটিশ অনুযায়ী তিনি তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব পেশ করেছেন কমিশনে। ওই হিসাব যাচাই করতে গতকাল মঙ্গলবার দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত-১ শাখা থেকে উপপরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সোবহানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হিসাব যাচাই করে প্রতিবেদন পেশ করবেন। পরে কমিশন আবু আসলামের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
দুদক জানায়, আবু আসলামের নামে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার সাতেঙ্গা মৌজায় ৩৩ লাখ টাকা মূল্যের ২.৬৭ শতাংশ জমি, একই জেলার ফতুল্লা থানার মাসদাইর মৌজায় পাঁচ লাখ ১৩ হাজার টাকা মূল্যের ১.৩ শতাংশ জমি রয়েছে। মাসদাইরের জমিতে একতলা একটি পাকা বাড়ি রয়েছে।
তার নামে এসআইবিএলসহ দুটি ব্যাংকে ৪০ লাখ ৭৪ হাজার টাকার এফডিআর, আইডিএলসির ১১ লাখ ৯৩ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে। এ ছাড়া এক লাখ ২০ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড, বিসিএস নামের সমিতিতে জমা রেখেছেন ১৬ লাখ ১০ হাজার টাকা, অন্য একটি সমিতিতে এক লাখ টাকা, জিপিএফ বাবদ তিন লাখ ৭৫ হাজার টাকাসহ অন্যান্য সম্পদ রয়েছে।
দুদক তার স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পদ খতিয়ে দেখছে। তার নামে আরও সম্পদ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তারা।
অনুসন্ধানকালে তার আয়কর হিসাবও যাচাই করা হবে। আবু আসলাম কলমাকান্দা উপজেলার এসিল্যান্ডের দায়িত্ব পালনের আগে ময়মনসিংহের ত্রিশালের এসিল্যান্ড ছিলেন।