থুতু তোদের ওই বন্দুকের নলে,
বেনিয়া তোদের হিংস্র বুলেট
বারুদ ভরা বুক বিদ্ধ করে জ্বালিয়ে দিয়েছিল
সেদিন মুক্তির আগুন।
তোদের বর্বর বুলেট
গিয়ে বিঁধেছিল শান্ত ঐ বরকরতের বুকে!
[আল জাজিরা তা জানে না।
জঙ্গি-জেহাদী ওরা জাতের নামে বজ্জাত,
ওরা মানুষ বোঝে না।
মাহফুজুর মাজহারেরাও কি জানে না?
জানে, কিন্তু ভদ্রবেশি লুটেরা ওরা তা মানে না।]
পিছনে তাকিয়ে দেখি লুটিয়ে পড়েছে অজ্ঞাৎ এক বালক,
একটু অদূরেই গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়ে অহিউল্লাহ;
করুণ রক্ত ধুলায় গোধুলী আলো ছড়ায়
যে আলোয় আজ বাংলাভাষা,
যে আলোয় আজ আমরা।
সে আলো আরো রক্তের নেশায় কখন যেন হয়ে যায় আলেয়া!
ভয় পাশ কেন মূর্খের দল?
তোদের বুকে তো বুলেট বিঁধে না
হৃদয়হীন বুকে বুলেট বিঁধে না।
মানুষেরা কখনও পারে না ধরায়
রক্ত ঝরাতে দানবেরও।
বেঁচে থাক তোরা,
দানব, থেকে থেকে দেখ
মানবের আত্মা কখনো মরে না।
ওরা অমর, ওরা একুশ;
ওরা আসবে ওরা আসে।
তোরা বেঁচে থাক, বেনিয়ারা বেঁচে থাক!
মরে, ওরা মরে
কোত্থেকে ওরা উড়ে এসে গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়ে
কোনদিন যারা আসেনি সামনে
চাইনি যারা নাম তারাই শহিদ
ওরাই রফিক জব্বার শফিউর
ওরা দিয়ে যায় ভাষা, দিয়ে যায় দেশ
ওরা অনিঃশেষ।