বাগেরহাট

বলভদ্রপুর গণহত্যা: রাজাকারেরা হত্যা করেছিল জবাই করে এবং ছুরি মেরে

বাড়িতে ঢুকে গুলি করে তাদের হত্যা করা হয়। টাকা পয়শা কোথায় কি আছে সেটি জানতে চাওয়ার এক পর্যায়ে গুলি করার আগে মতি ঘটকের জিভ কেটে ফেলে দিয়েছিল রাজাকারেরা। বলভদ্রপুর গ্রামটি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলা এবং মোরেলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম। গ্রামটি পড়েছে বনগ্রাম ইউনিয়নের মধ্যে। বলভদ্রপুর গ্রামটির অবস্থান কচুয়া উপজেলার শাঁখারিকাঠী গণহত্যাটি যেখানে সংগঠিত হয়েছিল…

বিস্তারিত
বাংলাদেশ

অব্যক্ত বিষাদ ।। সন্ধ্যা নাথ

শশুরবাড়ি যাবার সময় বাবা তানপুরাটা সঙ্গে দিয়ে দিলেন। গান ছাড়া আমার জীবন চলত না। বাগেরহাট থেকে দড়াটানা নদী পেরিয়ে বিলকুল বা পিঙ্গেরিয়া আমার জন্মভূমি, আমার বাপঠাকুরদাদার গ্রাম। মাটির রাস্তার ধারে দিগন্ত জোড়া ধানের মাঠ। শীতের ফসলহীন শূন্যমাঠে খেলার বন্ধুদের নিয়ে ছোটা আর ছোটা, না জিরিয়ে যতদূর যাওয়া যায়। ফেরার পথে খোলা গলায় গান। বর্ষার ঘন…

বিস্তারিত
গণহত্যা

গণহত্যার বর্বরতা: প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান ।। বাগেরহাট

১৯৭১ সালে বাগেরহাটে ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। এগুলো ঘটেছিল প্রধানত রাজাকার বাহিনীর দ্বারা। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো বাগেরহাটে হত্যা, নির্যাতন লুটপাট ছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন নয় মাসে ‍খুবই সাধারণ ঘটনা। মেরে মেরে লাস ফেলা হতো ভৈরব নদীতে। বিস্ময়কর এবং দু:খজনক হচ্ছে সেইসব বর্বর রাজাকারেরা বেশিরভাগ সাধারণ মৃত্যুবরণ করেছে, অনেকেই তারা সম্পদশালী হয়েছে, রাজনীতিতে জায়গা করে নিয়েছে। এই বাংলাদেশে…

বিস্তারিত
আহমেদ শরীফ

গণহত্যা বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপ: নীলফামারী জেলা

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনি বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মত নীলফামারী জেলার ৬টি উপজেলায় ব্যাপক ও বিভৎস গণহত্যা চালায়। পাকিস্তানি বাহিনীর এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও বিহারী সম্প্রদায় এ গণহত্যায় নেতৃত্ব দেয়। গণহত্যার সাক্ষী হয়ে সারা জেলায় আজও দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য বধ্যভূমি ও গণকরব। অনেক বধ্যভূমি বেদখল হয়েছে ভূমিদস্যু এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বাধীনতা বিরোধীদের দ্বারা।…

বিস্তারিত
গণহত্যা

’৭১-এর বর্বর গণহত্যার শোকগাঁথা: বিষ্ণুপুর গণহত্যা

বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামেও একটি গণহত্যা ঘটেছিল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে। স্থানীয় মনোয়ারা বেগমের উদ্ধৃতিতে জানা যায়— এই গ্রামের প্রায় অর্ধেক লোক হিন্দু । তাই এখানে সবচেয়ে বড় মন্দিরটি ছিল হাটখোলায়। এই মন্দিরের পুরোহিত বাদল ঠাকুর ছিলেন খুবই ধর্মপরায়ণ। দেশের অবস্থা খারাপ হলে তাঁর পরিবারের সকলে ভারত চলে যায়। কিন্তু তিনি মন্দিরেই থেকে গেলেন।…

বিস্তারিত
Genocide

গণহত্যার মর্মস্পর্শী গদ্য: মগিয়া গণহত্যা

বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানা থেকে উত্তর পশ্চিমে মগিয়া গ্রামের অবস্থান। কচুয়া থানার রাজাকার বাহিনী মগিয়া থেকে আরো ২ কিলোমিটার পশ্চিমের ভাসা বাজার থেকে পঁচিশ ত্রিশজন লোককে আটক করে আনে। এদেরকে মগিয়া বাজারের কাছে এনে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের একটি লোমহর্ষক বর্ণনা রয়েছে ‘একাত্তরে বাগেহাট’ বইটিতে। সেদিনের ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া সুনীল ডাকুয়াকে উদ্ধৃত করে বইটিতে…

বিস্তারিত
স্বরোচিষ সরকার

ধারাবাহিক: বাগেরহাটে বধ্যভূমি ও গণহত্যা

বাগেরহাট শহরের একাধিক স্থান এবং শহরের উপকণ্ঠে বেশ কয়েকটি জায়গায় পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা গণহত্যার ঘটনা ঘটায়। বাগেরহাটে গণহত্যার পথম ঘটনা ঘটে ২৪শে এপ্রিল। এদিন তারা মির্জাপুর, কাড়াপাড়া, বাদেকাড়াপাড়া, ফুলতলা, দশানী ও বাগেরহাট শহরে অর্ধশতাধিক সাধারণ মানুষকে গুলি করে হত্যা করে। ১৯৭১ইং মে তারিখে বাগেরহাট আমলাপাড়ায় অবস্থিত ওয়াপদা রেস্ট হাউসে পাকবাহিনীর ক্যাম্প এবং বাগেরহাট ডাকবাংলাতে…

বিস্তারিত
গণহত্যা নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ

পাকিস্তানের সেনা কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গণহত্যা চালানোর সাহস দেখাচ্ছে

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা ও ধর্ষণের দায়ে পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের শাস্তি না হওয়ায় বাংলাদেশে তাদের দোসরদের যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে দেশটি নাক গলানোর মতো ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন একটি আলোচনা সভার বক্তারা। এমনকি পাকিস্তানের সেনা কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় এখন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যেও দেশটির সেনাবাহিনী গণহত্যা চালানোর সাহস দেখিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন একজন।…

বিস্তারিত