কেরানীগঞ্জে শিশু শুভ হত্যা: গাড়ি কিনে দিয়ে মীমাংসা করতে চান আ.লীগের চেয়ারম্যান!

1

ভোটকেন্দ্রে শিশু শুভ কাজীকে(৯) গুলি করে হত্যার বিচারের দাবিতে কেরানীগঞ্জের হযরতপুরের সব শ্রেণির মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসী একট্টা হয়ে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করছে। তবে এখনও গ্রেফতার হয়নি শুভর হত্যাকারীরা। এদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আয়নাল শুভর বাবাকে গাড়ি কিনে দেওয়ার কথা বলে মীমাংসার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার দুপুরে হযরতপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর মোড়ে শুভ হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন হয়। এতে এলাকার নারী ও শিশুসহ সব শ্রেণির মানুষ অংশ নেয়। এসময় এলাকাবাসী শুভ হত্যার বিচারের দাবিতে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করে।
গত ৩১ মার্চ সকালে হযরতপুর ইউনিয়নের ঢালিকান্দি এলাকার মধুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নয় বছরের শিশু শুভ কাজীকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। শুভ ওই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবা হালিম কাজী অটোরিকশা চালক। দুই ভাই-বোনের মধ্যে শুভ ছিল বড়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এলাকাবাসীর অভিযোগ, হত্যাকারীরা আওয়ামী লীগের মনোনীত নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আয়নালের কর্মী। তার অনুসারী রানা মোল্লার নেতৃত্বে ওই ভোটকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়।
নিহত শুভর চাচা সালাল কাজী ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘এক থেকে দুই মিনিট গোলাগুলি হলো। গুলি করতে করতে তারা (সন্ত্রাসীরা) ভোটকেন্দ্র থেকে বের হয়ে যায়। সবার বুকে নৌকার ব্যাজ লাগানো ছিল। ভোটকেন্দ্র থেকে দৌড়ে বাইরে আসা অনেকেই ওই সময় একটি বাচ্চাকে স্কুল মাঠে উপুর হয়ে পড়ে থাকতে দেখে। তারা ধারণা করছিল ছেলেটি আমার। আমি দৌড়ে ভেতরে গিয়ে দেখি সে আমার ছোটভাই হালিমের ছেলে শুভ। আমি বাবা বলে চিৎকার করি, তাকে কোলে নিয়ে দৌড় দেই। কিন্তু স্কুলের মাঠের বাইরে আসার সঙ্গে সঙ্গে শুভ দুটি শব্দ করে। তখনই আমি বুঝতে পারি বাবা আমার নেই। এরপর স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেই। তারা সেখান থেকে শিকদার মেডিক্যালে নিতে বলে। সেখানে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান শুভ আর নেই। আমরা শুভকে বাড়িতে নিয়ে আসি। পরে গুলি বের করার কথা বলে পুলিশ শুভর লাশ নিয়ে যায়। তারা রাতে আবার লাশ ফেরত দিয়ে যায়।’