সহজ কথায়- ফৌজধারী অপরাধ বলতে ঐ সব অপরাধকে বুঝায় যা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর । সেক্ষেত্রে পুলিশ আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে যে সমস্ত অপরাধ করে তা সবই ফৌজদারী অপরাধ।
ফৌজদারি অপরাধের জন্য অপরাধীকে দণ্ডবিধি অনুসারে শাস্তি দেওয়ার কথা।
রাজন হত্যাকারীদের সাথো আপোশ করার চেষ্টা এবং অন্যতম খুনি কামরুলকে সৌদে আরবে পালিয়ে যেতে সাহায্য করা সুস্পষ্ট ফৌজদারী অপরাধ।
এক্ষেত্রে আ্নে বলা আছে-
[সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ সনের ১৬ নং আইনের ধারা নং ১৪ তে বলা হয়েছে , যদি কোন ব্যক্তি, অন্য কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন জানিয়াও বা উক্ত ব্যক্তি অপরাধী ইহা বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকা সত্ত্বেও, শাস্তি হইতে রক্ষা করিবার অভিপ্রায়ে উক্ত ব্যক্তিকে আশ্রয়দান করেন বা লুকাইয়া রাখেন তাহা হইলে তিনি যে শাস্তিতে দণ্ডিত হইবেন:- … (ক) উক্ত অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হইলে, অনধিক পাঁচ বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন, এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডও আরোপ করা যাইবে; অথবা (খ) উক্ত অপরাধের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা যে কোন মেয়াদের কারাদণ্ড হইলে, অনধিক তিন বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন, এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডও আরোপ করা যাইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আশ্রয়দান বা লুকাইয়া রাখিবার অপরাধ স্বামী, স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, পিতা বা মাতা কর্তৃক হইলে, এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না।]
পুলিশের ক্ষেত্রে কি এ আইন প্রযোজ্য নয়?
রাজনের হত্যাকারীদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করায় এবং ঘুষ নিয়ে আপোশ করার চেষ্টার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায়, পুলিশের জালালাবাদ থানার মহাপরিদর্শক আলমগীর হোসেনকে সাময়ীকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তাকে রংপুর পুলিশ রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এটা তো বিভাগীয় শাস্তি।
প্রশ্ন হচ্ছে- কেন ফৌজদারী অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে আদালত অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিচার করছে না?