প্রতিবাদে অসহিষ্ণু হয়ে আমরা যেন সমগ্র শিক্ষক সমাজকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে প্রতিপক্ষ না করি // ডা. বাহারুল আলম

প্রতিবাদের পাশাপাশি আমরা যেন সহিষ্ণু থাকি। অসহিষ্ণু হয়ে অন্য পেশাজীবীদের চরিত্র হনন না করি, কুৎসা না রটাই। তাহলে ষড়যন্ত্রকারীরা পেশাজীবীদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টিতে সফল হবে।


প্রতিবাদে অসহিষ্ণু হয়ে আমরা যেন সমগ্র শিক্ষক সমাজকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে প্রতিপক্ষ না করি। এর ফলে পেশাজীবীদের ঐক্য বিনষ্ট হবে, ষড়যন্ত্রকারী আমলারা সফল হবে

একটি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে, পেছনে লুকানো ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে, পেশাজীবীদের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত বিভেদ সৃষ্টি করে আরেকটি অন্যায় না করি।

প্রতিবাদে দ্রোহের প্রকাশ যেমন প্রয়োজন, পরমতসহিষ্ণুতার প্রয়োজন ততোধিক। ষড়যন্ত্রকারীরা পেছনে ওঁৎ পেতে আছে । অসহিষ্ণু হলেই চিকিৎসক ও শিক্ষক উভয় সম্প্রদায় দ্বন্দ্বে, বিবাদে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যাবে। এ প্রেক্ষাপট বাংলাদেশে পেশাজীবীদের ঐক্যে ফাটল ধরাবে, ফায়দা লুটবে ঔপনিবেশিক আমলারা।

“Divide & rule” – ষড়যন্ত্রকারীদের পূর্বপুরুষের চাণক্য কৌশলের বাস্তবতা সৃষ্টি হবে। প্রতিবাদ ও প্রতিকার করতে গিয়ে এ ভুল যেন আমরা না করি।

প্রশ্নপত্রের দায়ভার সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর। যে কারণে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে চিকিৎসকদের চরিত্র হননের বিষয় অন্তর্ভুক্ত হোক না কেন, শিক্ষাবোর্ড , শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ দায় এড়াতে পারে না। ব্যর্থতার সকল দায়ভার শিক্ষামন্ত্রীর ।

প্রশ্নপত্র প্রস্তুতকারীদের শাস্তি ও মন্ত্রীর পদত্যাগ-এর সাথে প্রশ্নপত্র প্রত্যাহার ও উক্ত বিষয়ে পরীক্ষা বাতিল—চিকিৎসকদের মুল দাবী।

সমগ্র শিক্ষক সমাজকে অভিযুক্ত ও আক্রমণ করা অনুচিত। আমরা মনে করি চিকিৎসকদের নৈতিকতা ও ঐক্যের প্রশ্নে সমগ্র শিক্ষক সমাজ প্রতিবাদে আমাদের পাশে আছে এবং থাকবে।

প্রতিবাদের পাশাপাশি আমরা যেন সহিষ্ণু থাকি। অসহিষ্ণু হয়ে অন্য পেশাজীবীদের চরিত্র হনন না করি, কুৎসা না রটাই। তাহলে ষড়যন্ত্রকারীরা পেশাজীবীদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টিতে সফল হবে।

বাহারুল আলম