ম্যাজিস্ট্রেট ইলিশ লুট করেছে ?

১

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মতিরহাট বাজারে কোল্ড স্টোরেজের তালা ভেঙ্গে ২০০টি ইলিশ মাছ ‘লুটে’র অভিযোগ ওঠেছে সোহেল রানা নামে এক ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকালে এঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন এক ভুক্তভোগী।

অভিযোগে জানা গেছে, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে গত ফেব্রুয়ারি মাসে এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ২০০ ইলিশ কমলনগর উপজেলার মতিরহাট বাজারে কোল্ড স্টোরেজে মজুদ করেন স্থানীয় ১২ব্যবসায়ী। ৬ এপ্রিল বুধবার রাত সাড়ে দশটার দিকে নিজেকে এনডিসি পরিচয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নামে ৬ ব্যাক্তিকে নিয়ে ওই কোল্ড স্টোরেজের তালা ভেঙে ২টি সিএনজি অটোরিকশায় ইলিশ মাছ নিয়ে যান। রাতেই ব্যবসায়ীরা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করলে ওই দিন কমলনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা  হয়নি বলে জানান কর্মকর্তা।
ভুক্তভোগী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, মাছগুলো প্রায় দুই মাস আগে কিনে কোল্ড স্টোরেজে রাখা হয়। তখন মেঘনা নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল না- একথা বলার পর তাদেরকে গ্রেফতারের হুমকি দিয়ে মাছ নিয়ে আসা হয়। লুট হওয়া মাছের বর্তমান মূল্য প্রায় চার লাখ টাকা বলে জানান তিনি।
ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, ‘আমি গতকাল ঘুরতে গিয়েছি মতির হাট এলাকায়। তখন আমার মনে হলো ওখানে অবৈধ মাছ আছে। তাই আমি মাছগুলো নিয়ে আসি।’

মাছ লুটের কথা অস্বীকার করে তিনি জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাছগুলো তিনি ৩টি এতিমখানায় বিতরণ করেছেন।

ভ্রাম্যামাণ আদালত সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কিছুই জানাননি বলেও তিনি স্বীকার করেন। এছাড়া ভ্রাম্যামাণ আদালতের সিজার লিস্ট করেননি বলেও জানান।

স্থানীয় আবদুল গনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুল মোহায়মেন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে তার প্রতিষ্ঠানকে ১০টি ইলিশ মাছসহ মোট তিনটি প্রতিষ্ঠানে ৩০টি ইলিশ মাছ দেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জানান, বুধবার রাতে কমলনগর উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। অভিযান পরিচালনার বিষয়টিও তাদেরকে জানানো হয়নি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।