রাইহান রনো: কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের কাতলামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়েছে। জানা যায় উক্ত ইউনিয়নের রসুলপুর (ব্রহ্মত্তর) গ্রামের মৃত- বানভাসার পুত্র মজিবর রহমান (৪৯), গত ৩০ মার্চ ২০১৬ খ্রি. বিকেল ৫.০০ ঘটিকায় পাশের বাড়ীর চতুর্থ শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে ফাঁকা বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিজ বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় মেয়েটির আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুঁটে এসে রক্তাক্ত ও মুমুর্ষ অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় ডাক্তার দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। অবস্থার অবনতি হলে ৩১ মার্চ তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-এর ৭/৯(১) ধারায় কুড়িগ্রাম সদর থানায় গত ২ এপ্রিল একটি মামলা দায়ের করা হয় যার নং-০২। মামলা দায়ের করার ১ সপ্তাহের বেশি সময় পেড়িয়ে গেলেও এখনও গ্রেফতার করা হয়নি ধর্ষককে। এ বিষয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। মামলার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই জনাব নিতাই রায়কে মামলা বিষয়ে জিজ্ঞাস করা হলে তিনি বলেন, মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং ধর্ষককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ইউপি চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল মালেকে বলেন, ধর্ষণের বিষয়ে কোনো আপোষের প্রশ্নই আসে না। ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিৎ। এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জনাব শাহ্ আলম মিয়া বলেন, এই পশুত্বমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিৎ। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মেয়েটি এখনও অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে। ধর্ষক এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় মেয়ের বাবা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন টাকার অভাবে তাঁর মেয়ের যথাযথ চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না।