যুদ্ধাপরাধীদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি প্লট ও ফ্ল্যাট বাতিল করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও আরো বড় কাজ বাকি আছে বলেই মনে করছেন ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
ফোনে চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, অবশ্যই সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু এর চেয়েও বড় কাজ আমাদের সামনে পড়ে আছে। এসব যুদ্ধাপরাধীরা দেশে যে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে সেটাতে তাদের কোনো অধিকার নেই। সেসব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে শহীদ পরিবার ও মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ নারীদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়াটা সরকারের দায়িত্ব।
আজও অনেক শহীদ পরিবারকে দেখা যায় মানবেতর জীবন-যাপন করছে, হয়তো মুক্তিযুদ্ধে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে কেউ কেউ ভিক্ষাবৃত্তিও বেছে নিয়েছেন। পত্রিকায় অনেক সময় সেরকম অনেক খবর আসছে। তাদের খুঁজে বের করাও নিশ্চয়ই খুব কঠিন হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের কিছু ভাতা দিচ্ছেন। কিন্তু সেটাতেই তারা কতটা উপকৃত হচ্ছে? আর এসব যুদ্ধাপরাধী পাপীরা যে সম্পদের পাহাড় গড়েছে সেটাতে তাদের কোনোই নৈতিক অধিকার নেই। এসব কোটি কোটি টাকার যে সম্পত্তি তাদের আছে তাই পরবর্তীকালে জঙ্গিবাদী রাজাকারদের অর্থ যোগাচ্ছে। তহবিল গঠন করে জন্ম দিচ্ছে সন্ত্রাসবাদের। সেজন্য এসব গোঁড়া থেকে নির্মূল করা দরকার।
শুধু এসব রাজাকারদেরই নয়, পাকিস্তানের কাছ থেকেও ক্ষতিপূরণ নিয়ে তা শহীদ পরিবারগুলোর মধ্যে বিতরণের দাবি জানান তিনি। বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের শুধু ফাঁসিতে ঝুলালেই হবে না, এভাবে তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে শহীদদের দিলেই কেবল ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।
দীর্ঘদিন ধরেই যুদ্ধাপরাধীদের টাকা বাজেয়াপ্ত করে শহীদ পরিবারকে দেওয়ার দাবি তুলে আসছে একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি। বুধবার গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জানান, যুদ্ধাপরাধীদের নামে বরাদ্দ হওয়া সকল প্লট বাতিল করা হয়েছে। এসময় তিনি আরো জানান, যেসব যুদ্ধাপরাধী তাদের জমি উন্নয়নের জন্য ডেভলপারদের দিয়েছে তারা যে ফ্ল্যাটগুলো পাবে সেগুলোও বাজেয়াপ্ত করা হবে।
সূত্র: চ্যানেল আই