বোনকে বলেছিলেন আজই বাড়ি ফিরবেন, এখনো ছেলের অপেক্ষায় নির্বাক মা

1

ছোট বোন নাছিমা বেগমকে সামাদ বলেছিলেন ঢাকা থেকে বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরবেন। বোড় বোনের সন্তানদের জন্য কি আনবেন জিজ্ঞেসও করেছিলেন। অসুস্থ মা অপেক্ষায় ছিলেন সামাদ বাড়ি ফিরবেন।

নাজিমুদ্দিন সামাদ আর কখনো বাড়ি ফিরবেন না এই খবর এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না তাঁর মা ও বোনদের। মা তো শয্যাশায়ী হয়ে এখনো ছেলের ফেরার অপেক্ষায়।

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের বড়াউট গ্রামে বুধবার রাতে ঢাকায় খুন হওয়া নাজিমুদ্দিনের সামাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় শোক স্থব্ধ পরিবেশ। সামাদকে কেউ হত্যা করতে পারে এলাকার লোকজনও তা বিশ্বাস করছেন। গ্রামের সবার সাথেই সুসম্পর্ক ছিল তাঁর। সিলেট ক্যাডেট কলেজ ও লিডিং বিশ্ববিদ্যালয় পেরিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নাজুমুদ্দিন সামাদের জন্য গ্রামের লোকদের গর্বও ছিল।

৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে নাজিম চতুর্থ। বড় ভাই জুলহাস উদ্দিন ও বাবা আব্দুস সামাদ আগেই মারা গেছেঞ। তাঁর বড়  ভাই শামীম উদ্দিন ও ছোট ভাই জসিম উদ্দিন থাকেন লন্ডনে। আর মেঝভাই সুনাম উদ্দিন থাকেন ফ্রান্সে।

আর ছোট ভাই থাকেন ফ্রান্সে। বড় বোন পারুল বেগম বিবাহিত। ছোট বোন ও মা তইরুন্নেছাকে নিয়েই দেশে পরিবার ছিল সামাদের।

বুধবার ( ৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার পরে রাজধানীর সূত্রাপুর এলাকায় অজ্ঞাত দুবৃত্তদের চাপাতি ও গুলির আঘাতে নিহত হন নিজামুদ্দিন সামাদ। তাকে হত্যা করার সময় খুনিরা “আল্লাহু আকবর” বলে স্লোগান দেয় বলে এলাকাবাসি জানিয়েছিলেন। সামাদ প্রগতিশীল আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মধ্যম ফেসবুকে ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তিনি।

পরিবার সূত্র থেকে জানা গেছে তাঁর এক লন্ডন প্রবাসী চাচাত ভাই বদরুল ইসলাম ঢাকায় ফিরে লাশ নিয়ে গ্রামে আসার ব্যবস্থা করবেন।