পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়বাম উত্তর পাড়া নূরানী তালিমুল কোরআন মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা লোকমান হোসেন গত ১৮ জুন দুপুর ১২টার দিকে ওই মাদরাসার ৩য় শ্রেণির এক ছাত্রীকে মাদরাসা ছুটির পর কাজ আছে বলে তাকে মাদরাসায় থাকতে বলে। এ সময় মাদরাসার অন্য সকল শিক্ষার্থীরা বাড়িতে চলে গেলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মাদরাসার দক্ষিণ পার্শ্বে অবস্থিত তার থাকার কক্ষে ওই ছাত্রীকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের ঘটনাটি কাউকে না জানানোর কথা ওই ছাত্রীকে বলে দেয় লম্পট অধ্যক্ষ। তবে ওই শিশু ছাত্রী বাড়িতে এসে ঘটনাটি তার মাকে জানায়।
এছাড়া ধর্ষণের ফলে ওই শিশু ছাত্রীর শরীর থেকে রক্ত ঝড়তে শুরু করে। পরে পরিবারের লোকেরা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে চিকিৎসকরা শিশুটিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনার তিন দিন পার হলেও ওই শিশু এখনও শঙ্কা মুক্ত হয়নি বলে জানা গেছে।
এদিকে, এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে ওই শিশুর পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। থানায় মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মাওলানা লোকমান হোসেনকে গ্রেফতার করে। এছাড়া এ ঘটনার খবর চারদিকে ছঁড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সকলে ওই প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, গ্রেফতারের পর ওই ধর্ষককে কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।