নৃশংস এই ঘটনায় অভিযুক্ত পোন্নাম্মা নামে ওই মহিলা সাবেক ফ্লাইট লেফটেন্যান্টের স্ত্রী। তার বাড়ির সামনের গেটের নিচের
নর্দমায় ৮ টি বাচ্চার জন্ম দেয় কুকুরটি। রাগের চোটে সেটিকে শিক্ষা দিতে বাচ্চাগুলিকে বোল্ডারে ছুঁড়ে মারে ওই মহিলা। সেদিনই মৃত্যু হয় সাতটি কুকুর ছানার। একটি বেঁচে ছিল, সেটিও পরের দিন মরে যায়।
এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, মৃত বাচ্চাগুলিকে মাটির নিচে চাপা দিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু মা কুকুরটি কিছুতেই মানতে চায় না, তার সন্তানগুলি নেই। মাটি খুঁড়ে বাচ্চাগুলিকে বের করে দুধ খাওয়াতে যায় সে। ঘটনার বেশ কয়েকদিন পরও সেই জায়গায় ঘোরাফেরা করতে থাকে কুকুরটি।
এই অমানবিক ঘটনায় স্থানীয়দের রোষ গিয়ে পড়ে তার ওপর। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় তার বিরুদ্ধে। পুন্নাম্মার বিরুদ্ধে পশু আইনের বিবিধ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দোষ প্রমাণিত হলে ৫ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে তার।
সাম্প্রতিককালে পশুদের ওপর নির্যাতনের বেশ কিছু নজির মিলেছে। একটি বিক্ষোভসভায় পুলিশ ঘোড়া ‘শক্তিমান’কে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে উত্তরাখন্ডের বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। প্রাণ বাঁচাতে জখম পা-টি কেটে বাদ দিতে হয় ঘোড়াটির।-এবিপি আনন্দ