প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, মুসলিম খদ্দেরদের জন্য ধর্মীয় অনুশাসনের সীমার মধ্যে থেকেই নাকি পতিতালয় চালু হয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। এই পতিতালয়কে মালিকপক্ষ ‘হালাল পতিতালয়’ বলে দাবি করেছেন!
খবরে জানা যায়, দেশটির রেড লাইট এলাকায় ‘হট ক্রিসেন্ট’ নামে এই বারটি সম্প্রতি চালু করা হয়েছে। ‘হালালভাবে যৌনবৃত্তি’ চরিতার্থ করার উপায় খুঁজে বের করতে ৩ জন আধুনিক মনস্ক ইমামের (যাকে ধর্মীয় নেতা বলা হয়ে থাকে) পরামর্শ নেন ওই বারের মালিক জনাথন সুইক।
তাদের পরামর্শ অনুযায়ী, সেখানকার পতিতাদেরকে কোনো মাদক সেবনে বাধ্য করা হবে না। আবার ইসলামের নিয়মানুযায়ী দিনে পাঁচবার নামাজও পড়বে তারা। খদ্দেরদেরকেও তাদের সঙ্গে ইসলামসম্মতভাবেই যৌনসম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।
বিয়ে ছাড়া নারী-পুরুষের যৌন সংসর্গ ইসলাম সম্মত হবে কী করে? ইমামদের সঙ্গে পরামর্শ করে এরও একটা সমাধান বের করেছেন ওই হোটেল মালিক জনাথন।
বলা হয়েছে, ইসলামে শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক যুগলের প্রণোদনার জন্য প্রথা ‘মুতা বিয়ে’ নামের একধরনের অস্থায়ী বিয়ে প্রচলিত রয়েছে। শিয়া সমাজে এই ধরনের চুক্তিভিত্তিক বিয়ে স্বীকৃত ও ধর্মীয় আইনসিদ্ধ। হোটেলে যৌনসঙ্গী সরবরাহের ক্ষেত্রেও ‘মুতা বিয়ে’র (যাকে বলে বিনোদনের জন্য বিয়ে) ওই প্রথা অনুসরণ করা হচ্ছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘মুতা বিয়ে’র ক্ষেত্রে যুগলজীবনের সময়সীমা বিয়ের পূর্বেই নির্ধারণ করা হয়। আর তাই সময় পার হওয়ার পর আপনা আপনিই বিয়ের সমাপ্তি ঘটে। তবে ইচ্ছা করলে পুনরায় বিয়েও করা যায়। আবার অর্থ প্রদানের বিষয়টিও ঘটতে পারে। অর্থাৎ যেমনটি একজন স্বামী তার স্ত্রীকে দেনমোহর হিসেবে দিয়ে থাকেন।
উল্লেখ্য, হট ক্রিসেন্ট বারের ‘হালাল পতিতা’দেরকে প্রতি দুই মাস পর পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়ে থাকে। এতে করে গ্রাহকরা যৌনসংসর্গের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেও পড়বে না।
সূত্র: অনলাইন