গত সপ্তাহেই করাচিতে এক হিন্দু চিকিৎসককে একটি হাসপাতালের আইসিইউয়ের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়
করচিতে তাঁর ক্লিনিক থেকে বের হওয়ার পরই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় হামলাকারীরা। সে সময় এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। প্রীতম লাখাওনি নামে ওই চিকিৎসককে বুকে গুলি করা হয়। আহত চিকিৎসককে প্রথম আব্বাসি শহিদ হাসপাতাল ও পরে তাঁকে আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায় নি। পুলিশ এই খুনের পেছনে ধর্মীয় কারণ রয়েছে বলে মনে করছে।
লাখওয়ানির ছেলে রাকেশ কুমার সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ক্লিনিক থেকে বের হওয়ার পরই তাঁকে গুলি করা হয়। কেউ একজন বাবার ফোন থেকে আমাকে ফোন করে বাবাকে গুলি করার কথা জানায়। বাবার সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা ছিল না। ওই এলাকায় বাবা গত পনের বছর ধরে চেম্বার করছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীরা কতজন ছিল তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না। কারণ সেই সময় এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। জানিয়েছেন, পুলিশ আধিকারিক মুহাম্মাদ হাসনাইন।
এদিকে, এলাকার এমকিউএম পার্টির নেতা সঞ্জয় পেরওয়ানির দাবি, ধর্মীয় বিদ্বেষ থেকেই ডাক্তার লাখওয়ানিকে খুন করা হয়েছে। ক্লিনিক থেকে বেরিয়ে লাখওয়ানি তাঁর সহকারিকে মোবাইল ফোনের জন্য একটি ব্যালান্স কার্ড আনতে বলেন। সেই সময়েই তাঁকে গুলি করা হয়।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে করাচি সিভিল হাসপাতালের আইসিইউয়ের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় অনিল কুমার নামে এক চিকিৎসককে। সেই মৃত্যু রহস্যের এখনও কিনারা হয়নি। সম্প্রতি এক মিছিল থেকে হামলা চালিয়ে আব্বাসি এলাকায় দুই হিন্দু যুবককে গুলি করে মারা হয়।