পাকিস্তানের করাচিতে গুলিতে নিহত হিন্দু চিকিৎসক

follow-upnews
0 0

গত সপ্তাহেই করাচিতে এক হিন্দু চিকিৎসককে একটি হাসপাতালের আইসিইউয়ের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়

1

গত সপ্তাহেই পাকিস্তানের একটি হাসপাতালে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় এক হিন্দু চিকিৎসকের। তাঁকে আইসিইউয়ের মধ্যেই মৃত অবস্থায় পাওয়া ‌যায়। এবার বন্দর শহর করাচিতে বৃহস্পতিবার খুন হলেন ৫৬ বছর বয়সী এক হিন্দু চিকিৎসক।

করচিতে তাঁর ক্লিনিক থেকে বের হওয়ার পরই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় হামলাকারীরা। সে সময় এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। প্রীতম লাখাওনি নামে ওই চিকিৎসককে বুকে গুলি করা হয়। আহত চিকিৎসককে প্রথম আব্বাসি শহিদ হাসপাতাল ও পরে তাঁকে আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নিয়ে ‌যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো ‌যায় নি। পুলিশ এই খুনের পেছনে ধর্মীয় কারণ রয়েছে বলে মনে করছে।

লাখওয়ানির ছেলে রাকেশ কুমার সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ক্লিনিক থেকে বের হওয়ার পরই তাঁকে গুলি করা হয়। কেউ একজন বাবার ফোন থেকে আমাকে ফোন করে বাবাকে গুলি করার কথা জানায়। বাবার সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা ছিল না। ওই এলাকায় বাবা গত পনের বছর ধরে চেম্বার করছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীরা কতজন ছিল তা এখনই বোঝা ‌যাচ্ছে না। কারণ সেই সময় এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। জানিয়েছেন, পুলিশ আধিকারিক মুহাম্মাদ হাসনাইন।

এদিকে, এলাকার এমকিউএম পার্টির নেতা সঞ্জয় পেরওয়ানির দাবি, ধর্মীয় বিদ্বেষ থেকেই ডাক্তার লাখওয়ানিকে খুন করা হয়েছে। ক্লিনিক থেকে বেরিয়ে লাখওয়ানি তাঁর সহকারিকে মোবাইল ফোনের জন্য একটি ব্যালান্স কার্ড আনতে বলেন। সেই সময়েই তাঁকে গুলি করা হয়।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে করাচি সিভিল হাসপাতালের আইসিইউয়ের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া ‌যায় অনিল কুমার নামে এক চিকিৎসককে। সেই মৃত্যু রহস্যের এখনও কিনারা হয়নি। সম্প্রতি এক মিছিল থেকে হামলা চালিয়ে আব্বাসি এলাকায় দুই হিন্দু ‌যুবককে গুলি করে মারা হয়।

Next Post

হাসনাত করিমই গুলশান হামলার মূল হোতা (?)

“তিনি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে হামলা পরিচালনা ও মনিটরিং করেন। নানাভাবে যোগাযোগ ও তথ্য আদান-প্রদান করেন দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন মাধ্যমে। গুরুত্বপূর্ণ এ ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন একেবারে স্বাভাবিক।” বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন ধরনের খবর প্রকাশিত হচ্ছে গত কিছুদিন ধরে কয়েকটি স্থির চিত্রের উপর ভিত্তি করে। বলা হচ্ছে, তিনি এতটাই […]