বাংলাদেশ পুলিশবাহিনীতে উপপরিদর্শক (এসআই নিরস্ত্র) পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। পুরুষ ও নারীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন। পুলিশের সাতটি বিভাগীয় রেঞ্জে শারীরিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মনস্তত্ত্ব ও লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এই দুটি পরীক্ষায় যাঁরা নির্বাচিত হবেন, তাঁরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন। মৌখিক পরীক্ষায় পাস করলেও সবশেষে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের পুলিশবাহিনীতে চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত করা হবে। রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে এক বছর সফল প্রশিক্ষণ শেষে পুলিশবাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন তাঁরা। প্রশিক্ষণকালে থাকা-খাওয়াসহ যাবতীয় খরচ দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রতি মাসে ৭০০ টাকা হারে প্রত্যেককে মাসিক ভাতা দেওয়া হবে। কাজে যোগ দেওয়ার পর একজন এসআই নবম জাতীয় বেতন স্কেলের ১০ গ্রেড অনুযায়ী বেতন পাবেন ১৬ হাজার ৫৪০ টাকা।
প্রার্থীর যোগ্যতা
আবেদনকারী সবাইকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। সাধারণ ও অন্যান্য কোটায় প্রার্থীয় বয়স মাধ্যমিক বা সমমানের সনদ অনুযায়ী ১ জানুয়ারি ২০১৫ সালে বয়স হতে হবে ১৯ বছর থেকে ২৭ বছর। মুক্তিযোদ্ধা/ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে বয়স ৩২ বছর হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সন্তানের ক্ষেত্রে বয়স ২৭ বছরই হতে হবে।
শিক্ষাগত ও শারীরিক যোগ্যতা
অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম স্নাতক পাস ও কম্পিউটারে অভিজ্ঞ হতে হবে। পুরুষ প্রার্থীর ক্ষেত্রে উচ্চতা পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি ও বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি হতে হবে।
নারী প্রার্থীর ক্ষেত্রে উচ্চতা হতে হবে পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি। পুরুষ-নারী সবার ক্ষেত্রে উচ্চতা ও বয়সের সঙ্গে ওজন অনুমোদিত পরিমাপক হতে হবে।
পরীক্ষার সময়
সাতটি রেঞ্জে একই সঙ্গে আগামী ২৭ জুলাই সকাল নয়টায় শারীরিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো ঢাকা বিভাগ: এপিবিএন পুলিশ লাইনস উত্তরা ঢাকা; চট্টগ্রাম বিভাগ: সিএমপি পুলিশ লাইনস চট্টগ্রাম; রাজশাহী বিভাগ: রাজশাহী জেলা পুলিশ লাইনস রাজশাহী; রংপুর বিভাগ: রংপুর জেলা পুলিশ লাইনস; খুলনা বিভাগ: আরআরএফ পুলিশ লাইনস, খুলনা; বরিশাল বিভাগ: বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনস; সিলেট বিভাগ: সিলেট জেলা পুলিশ লাইনস।
এ সময় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, নাগরিকত্ব সনদের মূল কপি, সত্যায়িত রঙিন পাসপোর্ট সাইজের তিন কপি ছবি আনতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা ও উপজাতীয় কোটায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে হবে।
শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ওই পরীক্ষার দিনই সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজির কাছ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। ৩০০ টাকার পরীক্ষার ফি যেকোনো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সংশ্লিষ্ট ডিআইজির কার্যালয়ে ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে হবে। সেখান থেকে পরীক্ষায় স্থান জানিয়ে প্রার্থীদের কাছে লিখিত প্রবেশপত্র সময়মতো পাঠানো হবে। প্রবেশপত্র ছাড়া এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে না।
লিখিত পরীক্ষার বিষয়
২২৫ নম্বরের তিনটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৭ আগস্ট বেলা তিনটায় আধঘণ্টার মনস্তত্ত্ব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
৮ আগস্ট বেলা দুইটা থেকে তিন ঘণ্টার ইংরেজি, বাংলা রচনা ও কম্পোজিশনের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
৯ আগস্ট সাধারণ জ্ঞান ও পাটিগণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
লিখিত পরীক্ষা উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সময়মতো মৌখিক পরীক্ষার সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। মৌখিক পরীক্ষায় পাস করার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় একইভাবে প্রার্থীদের জানানো হবে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হবে।
বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (রিক্রুটমেন্ট ও ক্যারিয়ার প্ল্যানিং) মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘একজন স্নাতক উত্তীর্ণের প্রশ্নের মান যে ধরনের হয়ে থাকে, লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নও তেমনই হবে। তবে মিথ্যা তথ্য দিলে প্রার্থীর এই মনোনয়ন বাতিল করা হবে।’
* প্রথম আলো থেকে।