শহীদস্মৃতি সংরক্ষণ কমিটি শহীদদের উদ্দেশ্যে এবার স্মরণসভা করেছে জয়বাংলা মোড়ে

নূর মোহাম্মদ শেখ
বক্তব্য দিচ্ছেন শহীদস্মৃতি সংরক্ষণ কমিটি, বৃহত্তর ফরিদপুরের আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ শেখ।

২৬ মার্চ (২০২২) বিকাল ৩ টায় শহীদস্মৃতি সংরক্ষণ কমিটি (বৃহত্তর ফরিদপুর) ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার জয়বাংলা মোড়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্য একটি স্মরণসভা এবং আলোচনা সভার আয়োজন করে।

এ স্মরণসভা তথা আলোচনা সভায় বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলা থেকে শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে মাননীয় সাংসদ এবং সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরির উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শারীরিক কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। অন্যান্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেছেন শহীদস্মৃতি সংরক্ষণ কমিটি, বৃহত্তর ফরিদপুরের উপদেষ্টা এবং ফরিদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাণিক মজুমদার, শহীদস্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দিব্যেন্দু দ্বীপ, শহীদস্মৃতি সংরক্ষণ কমিটি, বৃহত্তর ফরিদপুরের আহ্বায়ক এবং অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা নূর মোহাম্মদ শেখ, সাধরণ সম্পাদক সমাজকর্মী উৎপল সরকার সাগর, বৃহত্তর ফরিদপুরের জাকারিয়া মাতুব্বর, রাজবাড়ী থেকে শহীদসন্তান অ্যাড. আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, মাদারীপুর থেকে শহীদসন্তান সুবোধ সাহা, বোয়ালমারী থেকে উৎপল কান্তি দাস, ফরিদপুর সদর থেকে শহীদসন্তান ক্ষিতিশ বিশ্বাস, চরযশোরদি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুর রহমানি শফিক, একই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহেদ ফকির, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, শহীদস্মৃতি সংরক্ষণ কমিটি নগরকান্দার আহ্বায়ক এবং কোদালিয়া-শহীদনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যার খন্দকার জাকির হোসেন নিলু প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শহীদস্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির (বৃহত্তর ফরিদপুর) সাধারণ সম্পাদক উৎপল সরকার সাগর এবং নগরকান্দার আহ্বায়ক খন্দকার জাকির হোসেন নিলু অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।

শহীদসন্তানেরা এ অনুষ্ঠান থেকে তাদের দীর্ঘদিনের দু:খকষ্ট এবং বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। প্রত্যেকের কথাতেই শহীদ পরিবার হিসেবে তাদের স্বীকৃতি না পাওয়ার বিষয়টি উঠে আসে। এ সময় শহীদপরিবারের পক্ষ থেকে পাঁচটি দাবী আবার তুলে ধরা হয়। দাবী পাঁচটি—

১. ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের দোসরদের দ্বারা সংগঠিত গণহত্যার জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি থাকতে হবে এবং প্রতিটি শহীদের নাম গেজেটভুক্ত হতে হবে;

২. যে এলাকায় যে তারিখে গণহত্যা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের আয়োজনে দিবসটি পালিত হতে হবে;

৩. প্রতিটি শহীদ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে;

৪. প্রতিটি শহীদ পরিবারে যোগ্যতার ভিত্তিতে একজনকে সরকারি চাকরি দিতে হবে;

৫. অবিলম্বে ’৭১-এর গণহত্যার বিচার দাবী করতে হবে।

আলোচনাসভা শেষে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ শহীদস্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে মোনাজাত করেন।