Headlines

নগরাঞ্চলের দুর্যোগ সহনশীলতা বৃদ্ধি প্রকল্প এবং বিল্ডিং নির্মাণ সংক্রান্ত সচেতনতা

প্রাণতোষ তালুকদার

রাজধানী ঢাকার ৩৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসে পিএসটিসি আয়োজিত নগরাঞ্চলের দুর্যোগ সহনশীলতা বৃদ্ধি প্রকল্প এবং বিল্ডিং নির্মাণ সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণ, অগ্নিকান্ডে নিরাপত্তা ও ভূমিকম্প বিষয় নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ৩৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী (ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি), পিএসটিসি’র কর্মকর্তাবৃন্দ ও ৩৮ নং ওয়ার্ডের গণ্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
অদ্য ২৮ জুলাই (২০১৮) রোজ শনিবার রাজধানী ঢাকার ৩৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসে পিএসটিসি আয়োজিত আলোচনা সভায় ৩৮ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় নেতা-কর্মী ও গণ্যমান্য লোকদের সম্মুখে নগরাঞ্চলের দুর্যোগ সহনশীলতা বৃদ্ধি প্রকল্প এবং বিল্ডিং নির্মাণ সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণ, অগ্নিকান্ডে নিরাপত্তা ও ভূমিকম্প বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় বক্তাগণ বলেন নগরভিত্তিক দুর্যোগ বিশেষত ভূমিকম্প এবং অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশের দুর্যোগ নীতিমালা, কাঠামো এবং পরিকল্পনার আলোকে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা শক্তিশালীকরণের কথা বলেছেন।
আরো বলেছেন সমাজভিত্তিক দুর্যোগ প্রস্তুতি মডেল বাস্তবায়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি শক্তিশালীকরণ, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সহায়তায় ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করার কথা, নগর ঝুঁকি নিরূপণ, কর্মপরিকল্পনা, প্রণয়ন ও ঝুঁকিহ্রাস কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন (যেমন: রাস্তাঘাট, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, অবকাঠামো), দুর্যোগ প্রস্তুতিতে সচেতনতা বৃদ্ধি (যেমন: স্কুল ও কমিউনিটি সেশন, বিশেষ দিবস পালন, মহড়া), জরুরী মুহূর্তে চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখা বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রশিক্ষণ প্রদান, দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে বিদ্যালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি-স্কুল লেভেল ইম্প্রভমেন্ট প্ল্যান বাস্তবায়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগেদ নিশ্চিতকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রসারতা বৃদ্ধি করণ প্রসঙ্গে আলোচনা করেন পিএসটিসি’র কর্মকর্তাগণ।
বিল্ডি নির্মাণে শুধুমাত্র সিমেন্ট ও বালু মিশিয়ে বা কোন কোন ক্ষেত্রে পাটের আঁশ মিশিয়ে মেশিনের সাহায্য ইটের মতো বানিয়ে গ্রাম পর্যায়ে বাড়ী-ঘর ও শহরে বিল্ডিং নির্মাণ করা যায় এবং বর্তমানে অনেক বাংলাদেশের অনেক স্থানে ইহা দ্বারা বাড়ি-ঘর, টয়লেট, দেয়াল ও বিল্ডিংও নির্মাণ হচ্ছে। ইটের ব্যবহারে বাংলাদেশে ফসলের জমি নষ্ট হচ্ছে। তাই বাংলাদেশে ইটের ব্যবহার যাতে না লাগে এ ব্যাপারেও পিএসটিসি’র কর্মকর্তাগণ বলেছেন বিকল্প নির্মাণ উপকরণ ও প্রযুক্তি ফেরো-সিমেন্ট স্যান্ডউইচ প্যানেল-ভবনে পার্টিশন হিসেবে সাধারণ ইটের দেয়াল নির্মাণ করা হয়ে থাকে। এই দেয়াল তৈরিতে ব্যবহৃত প্রচলিত পদ্ধতির তৈরী ইট পরিবেশ বান্ধব নয়। তাছাড়া এই ইটের দেয়াল ভারী হয়ে থাকে এবং নির্মাণ কাজে অনেক সময় ক্ষেপন হয়। এই প্রেক্ষাপটে এইচবিআরআই হালকা ওজনের পার্টিশন ওয়াল নির্মাণের লক্ষ্যে গবেষণা পরিচালনা করছে। এতে দেয়ালে এক্সপানডেড পলি স্টাইরিন শীটের দুইদিকে ফেরোসিমেন্ট প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়ে থাকে যা প্রচলিত ইটের দেয়ালের চেয়ে অধিক গুণাগুণ সম্পন্ন পক্ষান্তরে ওজনে হালকা, নির্মাণ সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ বান্ধব বলে জানান।
নদী খননকৃত মাটি অথবা স্থানীয় মাটির সাথে আনুপাতিক হারে সিমেন্ট মিশিয়ে মেশিনে চাপ প্রয়োগ করে, রোদে শুকিয়ে CSEB তৈরি করা হয়। এই ব্লকের অনেক সুবিধা থাকা সত্ত্বেও দেখা যায় যে, পরিবহন ও অন্যান্য কারণে এর Sharp corner গুলো ক্ষয়প্রাপ্ত হয় যা প্লাস্টারবিহীন দেয়াল তৈরির উপযোগিতা হারায়। এই সমস্যা মাধানের জন্য এর সাথে প্রয়োজনীয় জুট ফাইবার ব্যবহার করা হয়। ফলস্বরূপ দেখা যায় CSEB-এর Sharp corner গুলোর ক্ষয়প্রাপ্তি হ্রাস পেয়েছে এবং এই ধরনের CSEB Destructive Test-এ সম্পূর্ণ চূর্ন-বিচুর্ন না হয়ে বরং পরস্পর সংযুক্ত অবস্থায় থাকে যা ভূমিকম্প সহনীয় নির্মাণে বিশেষ সহায়ক।