বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগে জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। ওই পদে চূড়ান্তভাবে মনোনীত ১৬৭ প্রার্থীর মধ্যে দুজনের উত্তরপত্রে ঘষামাজা করে ২০ নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার প্রমাণ মিলেছে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ পরিদর্শনে। এতে আটকে গেছে ওই দুই প্রার্থীর নিয়োগ।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্নের দায়িত্ব পায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ। লিখিত পরীক্ষার পর বাংলাদেশ ব্যাংকে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর পর সব প্রক্রিয়া শেষে ১৬৭ জনকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়। গত মাসে প্রায় সব প্রার্থীর নিয়োগও সম্পন্ন হয়। তারা এরই মধ্যে যোগদান করেছেন এবং বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালনও শুরু করেছেন। তবে দুই প্রার্থীর নিয়োগ আটকে যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ পরিদর্শন বিভাগের আপত্তিতে। তাদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের ছাত্রী এবং অন্যজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের ছাত্রী।
পরিদর্শন বিভাগের পরিদর্শনে বেরিয়ে আসে, দুই প্রার্থীর উত্তরপত্রে ঘষামাজা করে নম্বর বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এদের একজনের প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৯৬, তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২৬। অন্যজনের নম্বর ছিল ৯৭, এটি বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২৭। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের কাছে মূল্যায়ন চাওয়া হয়। তারা জানান, এ বিষয়ে তারা অবগত নন। ওই উত্তরপত্রের স্বাক্ষরও তাদের নয়। এর পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ ঘটনার বিষদ তদন্তের মাধ্যমে প্রতিবেদন উপস্থাপনের দায়িত্ব দেয়া হয় ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক অশোক কুমার দেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা দেশের বাইরে থাকায় এ নিয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
* সংবাদটি দৈনিক বণিক বার্তা থেকে নেওয়া।