উল্টোপথে গাড়ি নিয়ে এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পরদিন একই কাজ করলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মাফরুহা সুলতানা।
সোমবার সন্ধ্যায় শেরাটন হোটেলের দিক থেকে উল্টোপথে এসে বাংলামটর মোড়ে পৌঁছানোর কিছুটা আগে তার গাড়ি আটকায় ট্রাফিক পুলিশ। এদিন উল্টোপথে আসা পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার গাড়িও আটকানো হয়।
ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মোসলেহউদ্দিন আহমেদ ও উপ-কমিশনার রিফাত রহমান শামীম এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন। পরে যুগ্ম কমিশনার মফিজ উদ্দিন আহম্মেদও তাদের সঙ্গে যোগ দেন।
আগের দিন উল্টোপথে এসে জরিমানা গুণতে হয় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদসহ অনেক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাকে। বিকালে হেয়ার রোডে ট্রাফিক পুলিশের ঘণ্টা দুয়েকের ওই অভিযানে ৫০টির মতো গাড়ি আটকানো হয়, যার বেশিরভাগই ছিল সরকারি কর্মকর্তাদের।
অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানান, রোববারও চালক বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন তারা।
আগের দিন পুলিশের কাছে ধরা পড়ার পর আবার উল্টোপথে এলেন কেন- প্রশ্ন করা হলে নিরুত্তর থাকেন এই চালক।
অভিযান শেষে অতিরিক্ত কমিশনার মোসলেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলামটরে তারা অভিযান শুরু করেন। উল্টোপথে আসায় দুটি গাড়ি ও সাতটি মটরসাইকেল আটকানো হয়।
গাড়ি দুটির ব্যবহারকারীকে জরিমানা করার পাশাপাশি একটি মটরসাইকেল ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
রোববার ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ট্রাফিক পুলিশের এই অভিযানে উল্টোপথে আসা মোট ৩০০টি গাড়ি আটকে মামলা দেওয়া হয় বলে জানান অতিরিক্ত কমিশনার।
“আমাদের এই অভিযান প্রায়ই চালানো হবে। কোন কোন জায়গা দিয়ে উল্টোপথে গাড়ি আসে, সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ওই সব জায়গায় আমরা অভিযান চালাব,” বলেন তিনি।
খবর: বিডিনিউজ