নাসিরনগরের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। তিনি বলেন, ‘রামুর ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে নাসিরনগরে। রামুতে প্রশাসন যতটা তৎপর ছিল এখানে তেমনটা নেই। ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, নাসিরনগরে প্রশাসনের তেমন কোনও গাফিলতি নেই। তাই আমরা প্রশাসনের তদন্তে ভরসা রাখতে পারিনা।’
শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সাম্প্রদায়িক তাণ্ডবের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গৌর মন্দিরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তার নেতৃত্বে ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রসরাজের বাড়ি ও ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরগুলো পরিদর্শন করেন।
শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং মৎস্য প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী ঘটনার তিনদিন পর এলাকায় এসে যা বলেছেন তাতে ঘটনা আরও বেড়েছে। তার কথায় সংখ্যালঘুরা আশ্বস্ত হতে পারেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ মহাজোট সরকারের আমলে এমন ঘটনা দেখতে চায় না। মানুষ নিরাপত্তা চায়, আশ্বাস চায়। কিন্ত প্রশাসন তাদের সেই নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রসরাজের বাড়িতে গিয়ে আমরা জানতে পেরেছি সে স্বল্প শিক্ষিত। ফলে রসরাজের ফটোশপে ছবি এডিট করা সম্ভব নয়। তার বাড়িঘর দেখে আমাদের মনে হয়েছে সে সংস্কৃতি মনস্ক মানুষ। সে এমন কাজ করতে পারে না ।’
এসময় শাহরিয়ার কবিরের সঙ্গে থাকা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি রসরাজের পক্ষে একজন আইনজীবী দাঁড়াতে চেয়েছিলেন কিন্ত বিচারক তাকে দাঁড়াতে দেননি। রসরাজকে কোনও কথা বলারও সুযোগ দেননি। ফলে ওই বিচারক যা করেছেন তা ন্যায় বিচারের পরিপন্থি বলে মনে করছি। ওই বিচারকের কাছে এর ব্যাখা চাওয়া উচিত। ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দেওয়ার আগে রসরাজকে যাতে আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়। তা করা না হলে হামলাকারীরা উৎসাহিত হবে।’
এসময় বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ছাড়াও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল ও সদস্য এ্যারোমা দত্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।