মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস না থাকলে দেশ ত্যাগ করতে পারেন // বেনজীর আহমেদ

জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশের নয়, এটি বিজাতীয় বিষয়। বিশ্বের এমন কোনো দেশ নেই, যে দেশ জঙ্গিবাদমুক্ত। গুটিকয়েক মানুষের জন্য পশ্চিমা বিশ্বে মুসলমানরা লাঞ্ছিত হচ্ছেন। ইসলাম কখনো জঙ্গিবাদ সমর্থন করে না, ইসলাম শান্তির ধর্ম।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, যারা বুঝে না বুঝে জঙ্গি হয়েছো, তোমরা মায়ের কোলে ফিরে আসো, কিছু দেশীয় অস্ত্র আর গুটি কয়েক বোমা দিয়ে এ দেশের ১৬ কোটি মানুষকে পরাজিত করা যাবে না। সবাই মিলে তোমাদের স্বপ্নকে দুঃস্বপ্ন করে দেবে।
সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার সমাপনী ও শিশু-কিশোর উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তিনি আরো বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে। জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশের নয়, এটি বিজাতীয় বিষয়। বিশ্বের এমন কোনো দেশ নেই, যে দেশ জঙ্গিবাদমুক্ত।  গুটিকয়েক মানুষের জন্য পশ্চিমা বিশ্বে মুসলমানরা লাঞ্ছিত হচ্ছেন। ইসলাম কখনো জঙ্গিবাদ সমর্থন করে না, ইসলাম শান্তির ধর্ম।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালে যেভাবে জেএমবিকে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে। তেমনি বর্তমান জঙ্গিবাদ দেশের জনগণকে নিয়ে নিশ্চিহ্ন করা হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বাস করেন না তারা দেশত্যাগ করতে পারেন। আপনাদের ছাড়া আমরা ভালোই থাকবো। নির্লজ্জ-বেহায়া লোকদের আমাদের দরকার নেই।
খেলাঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি ডা. মো. আবু সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, ব্রহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, বিশিষ্ট অভিনেতা আনোয়ার পারভেজ মুরাদ, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক আবুল ফারাহ পলাশ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ, অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রমুখ। পরে আলোচনা সভা শেষে উপস্থিত শিক্ষার্থীসহ সকলকে শুভ নাগরিক হয়ে ওঠার জন্য শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।
উল্লেখ্য, খেলাঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটি জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৫৭০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।


সূত্র: খবরটি ইত্তেফাক পত্রিকা থেকে নেওয়া হয়েছে।