মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জবি ক্যাম্পাস কেরানীগঞ্জে সরিয়ে নিতে বলেছেন

follow-upnews
0 0

ছাত্ররা থাকবে কেরানীগঞ্জে, একজায়গায় প্রশাসনিক ভবন, অন্যজায়গায় ছাত্রী হল? এটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থা হতে পারে না। এটা অস্থায়ীভাবে চলতে পারবে। কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ীভাবে পরিচালনার জন্য একটি পরিপূর্ণ পরিকল্পনা প্রয়োজন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাম্পাস কেরানীগঞ্জে সরিয়ে নিতে শিক্ষামন্ত্রীকে পরিকল্পনা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম।

শফিউল আলম বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চান, হলের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কি ব্যবস্থা নিয়েছেন? জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কেরানীগঞ্জে ছাত্রদের জন্য আবাসিক হল করে দেওয়া হবে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ২৫ বিঘা জমি আছে। আর ছাত্রী হোস্টেল হবে বর্তমান ক্যাম্পাসের পাশেই। বর্তমান ক্যাম্পাসের মধ্যে ২০ তলা প্রাশাসনিক ভবন নির্মিত হচ্ছে।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী রাগন্বিত হয়ে বলেন, ‘এটা কোন ধরনের পরিকল্পনা?  ছাত্ররা থাকবে কেরানীগঞ্জে, একজায়গায় প্রশাসনিক ভবন, অন্যজায়গায় ছাত্রী হল? এটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থা হতে পারে না। এটা অস্থায়ীভাবে চলতে পারবে। কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ীভাবে পরিচালনার জন্য একটি পরিপূর্ণ পরিকল্পনা প্রয়োজন। সেই ভাবে পরিকল্পনা করুন। একটি অখণ্ড জমিতে হল, হোস্টেল, প্রশাসনিক ভবন, টিএসসিসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যার যা দরকার তা যেন করা যায়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেরানিগঞ্জে কি আর জমি ছিল না? সেখানে কি বেশি করে জমি কিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একজায়গায় করা যেতো না?’ পরে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ব্যবস্থা এক জমিতে করতে পরিকল্পনা করার নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রীকে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘পুরাতন জেলখানা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্য। এখানে বঙ্গবন্ধু বন্দি ছিলেন, সেখানে চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়। কাজেই এ বিষয়গুলো বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই ইতিহাস সংরক্ষণে এখানে একটি জাদুঘরসহ পুরাতন ঢাকাবাসীর জন্য একটি কনফারেন্স রুম, বিপণী বিতান, পার্ক হবে। পুরাতন জেলখানার জমি এসব কাজে ব্যবহার করা হবে, অন্য কোনও কাজে নয়।’

সূত্র: বাংলাট্রিবিউন

Next Post

ফুলবাড়ী গণঅভ্যুত্থান ও সুন্দরবন পরিবেশ আন্দোলন -শেখ বাতেন

ফুলবাড়ী গণঅভ্যুত্থান দিবস। এই অভ্যুত্থানটি সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষ খুব কম জানে। ২০০৬ সাল, আগষ্ট মাসের ২৬ তারিখ দুপুরে বেলা প্রায় ৫০ হাজার গ্রামবাসীর একটি মিছিলের উপর গুলি বর্ষন করা হয়। ৪ জন গ্রামবাসী কিশোর সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। প্রায় চারশো জখম হয়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে এটা আমার ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিলো […]
ফুলবাড়ী দিবস