মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন ইমদাদের নেতৃত্বে ৩ জনের সাজা

কুমিল্লা
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এমদাদুল হক তালুকদার প্লাবন।

কুমিল্লার মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার লাগিয়ে বালু উত্তোলনের দায়ে ৩ জনকে ৭ দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় ২২টি ড্রেজার জব্দ করা হয়েছে। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এমদাদুল হক তালুকদারের নেতৃত্বে মঙ্গলবার দিনভর মেঘনা নদীর জেলার মেঘনা উপজেলার নলচর এলাকায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), উপজেলা প্রশাসন, থানা ও নৌ-পুলিশের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত টিম এ অভিযান চালায়।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মোক্তার হোসেন (২২), হিরো চৌকিদার (২০) ও জাকির হোসেন (২৮)।
দুদক-কুমিল্লা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি অসাধু চক্র মেঘনা নদীর মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের নলচরসহ আশপাশের এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ওই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান পরিচালনা চায়।
ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক তালুকদার ফলোআপনিউজ.কম কে বলেন, “মেঘনার গহীন চরের ভেতরে গোপনে ড্রেজার বসিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে একটি চক্র অনেকদিন ধরেই বালু উত্তোলন করে আসছিল। এ বিষয়টি সম্পর্কে দুদকের লিখিত নির্দেশ এবং জেলা প্রশাসকের নির্দেশেনায় তাৎক্ষণিকভাবে মেঘনার উক্ত চরে গিয়ে স্পিডবোট দিয়ে ধাওয়া করে মোট ২২ টি ড্রেজার জব্দ করা হয় এবং আটককৃত ৩ জনের প্রত্যেককে আইনানুগভাবে ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।”
বালু উত্তোলন সম্পর্কে তিনি বলেন যে সরকারি নির্ধারিত বালু মহাল থেকে ইজারা নিয়ে বালু তুলতে হবে। এর বাইরে যেখান সেখান থেকে ইচ্ছেমতো বালু তুললে পরিবেশ আইনে এবং সরকারি সম্পত্তি আইনে তা বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।