অদ্ভুত দৃষ্টি নিয়ে মুখ তুলেছে
বনপিয়ালের ওপার থেকে ঢের আগে ফোটা
সরষে ফুলের ঘ্রাণমাখা একটি বিকেল ;
একটি আগন্তুক কোকিল বয়সী রোদের
বলিরেখায় বসে হারানো দিনের গান ধরেছে ;
বুড়ো পিয়ানোতে বেজে উঠলো
সুর- কাঁদানো ব্যথা।
খরের টালে শুকাতে দিয়েছিলাম কিছু বিষণ্ন মেঘ
সেই কখন মেঘগুলো শুকিয়ে পেঁজা পেঁজা হয়েছে;
পেঁজা মেঘের গালিচায় বসে –
এক ফালি উদাসি হাওয়ায় উড়ে আসা
বনোফুলের এপিটাফে লিখবো-
অচল প্রেমের পদ্য ।
হঠাৎ মনে পড়ে গেল কিছু ক্ষণজন্মা
বসন্ত দিনের স্মৃতি ; কী গভীর তার ব্যথা !
মাঝ পথে আসন পেতে বসলো
লবণাক্ত যতি চিহ্ন – এগুতেই দিচ্ছে না!
আনমনেই দু’ফোটা শিশির ঢেলেছি
সাঁঝের নিকোনো দেহে ;
জোয়ার-ভাঁটার সন্ধিক্ষণে থেমে গেল
নদীর কলতান – বয়সী ভারে অবনত
ব্যথাগুলো উস্কে দিলো
স্থবির- বাতাসের দীর্ঘশ্বাসের গতি !
গোধূলি বেলায় ডুবে গেল
পুকুর জলে ঝরে পড়া শিউলীর সুখ
পৃথিবী এবার ডুব দিবে প্রাগৈতিহাসিক আঁধারে।