জন্মান্ধ // দিব্যেন্দু দ্বীপ

আমি বোধে আক্রান্ত, ওরা ক্রোধান্বিত,
আমি দীর্ঘশ্বাঃস ছাড়ি, অবশেষে নিশ্চেষ্ট হয়ে ঘুরি;
ওরা আমার দীর্ঘশ্বাঃসে মহাপ্রলয়ের আভাস পেয়েছে!
রোজ একটু একটু করে ক্ষয়ে ক্ষয়ে
সংকীর্ণ হৃদয় এখন কানাগলি খোঁজে,
ওরা এই আমার মাঝেও অবতার বধের মন্ত্র দেখেছে!
ওরা দল বেঁধেছে, ত্রিশুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মহাসড়কে;
আমি তখন ধীর পায়ে নদীর কোল ঘেষে হেঁটে হেঁটে
কাশফুলের দোল খাওয়া দেখছি,
আরো দেখছি কীভাবে জন্মান্ধ একটি জাতি
প্রলয় দেখে প্রেমিকের মাঝে!
ওরা এদিক ওদিক দৌঁড়াচ্ছে, হাঁফাচ্ছে, ফুঁসছে;
ততক্ষণে আমি পৌঁছে গেছি সদরঘাটে,
তোমার আসার কথা ঠিক পাঁচটায়।
এক বস্তা পড়ে পাওয়া প্লাস্টিক মাথায়
একটি বালকের দেখা পেয়েছি।
আমার অনুরোধে বস্তা নামিয়ে ও গল্প জুড়েছে,
তুমি না আসলে ওর-ই পিছু নেব।
শুনতে পাচ্ছি–
ওরা ত্রিশুল হাতে এদিক ওদিক দৌঁড়াচ্ছে, হাঁফাচ্ছে, ফুঁসছে।