এতদিন এ পৃথিবী আপন হৃদয়ে রেখেছি এঁকে,
আমি চির বিদায় নিতে চাই এ নশ্বর পৃথিবী থেকে।
আমি আজ সাক্ষাত করতে চাই সৃষ্টিকর্তার তরে,
পরপারের কথা স্মরণ করে আমার নয়ন ঝরে।
এই মায়া ও প্রেমময় শহর ছেড়ে আমি একা,
মহান সৃষ্টিকর্তার সাথে হয় যেন আমার দেখা।
তোমরা আমাকে যেতে দাও, বাধা দিও না ভাই,
আমি অধম আজ পরপারে চলে যেতে চাই।
হয়তো আমার সময় আর বেশিদিন নাই হাতে,
প্রভু যাবার কালে অনন্তকালের সুখ দিও সাথে।
আমার মন চায় শান্তিতে ঘুমোতে স্বর্গের ঘরে,
তোমরা আমায় বিরক্ত করো না পৃথিবীর পরে।
হেসে খেলে আমোদ প্রমোদে শেষ করে দিছি বেলা,
এখন বুঝেছি এবং চোখে দেখেছি পরকালের খেলা।
হাসি দিচ্ছে আমার বিচ্ছেদ স্বর্গ সুখের আশায়,
প্রভু শান্তি চাই শান্তি চাই পরকালের বাসায়।
কবি লিয়াকত আলী চৌধুরী ১৯৪৮ সালে গোপালগঞ্জ জেলার গোবরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
পিতা: মরহুম ফজলুল করিম চৌধুরী, মাতা: মরহুমা ছকিনা খাতুন।
গোবরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত।
কর্মজীবনে খুলনার খালিশপুরে দি ক্রিসেন্ট জুট মিলে ১৮ বছর চাকরি করেন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত টলারের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা থেকে তার কবিতা লেখার সূচনা হয়।
টুঙ্গিপাড়া থানার বালাডাঙ্গা হাইস্কুল মাঠে বসে ১৯৯৫ সালে প্রথম দেশরত্ন শেখ হাসিনা’ নামে একটি কবিতা লেখেন।
স্কুলটি গড়ার সময় এক ঠিকাদারের অধীনে তিনি কর্মরত ছিলেন সেখানে। তার লেখা কবিতাগুলো মূলত কবিতা শৈলীর চেয়ে আবেগআশ্রয়ী বেশি, তাই কবিতাগুলোতে পাওয়া যাবে অকৃত্রিমতার স্বাদ।
হৃদয়ের গভীর টান তিনি কবিতায় তুলে আনার চেষ্টা করেছেন। এখনো তিনি লিখে চলেছেন। তিনি সকলের দোয়া ও আশীর্বাদ প্রার্থী। কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম “কবিতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনা”