ছোটগল্প: এবং ভালোবাসা ।। হাসনা হেনা

তেজোদীপ্ত ঝলমলে দুপুর, উদাস সময় যেন  জিরুতে বসেছে আশে পাশেই কোথাও! এগুতেই চাচ্ছে না। বাতাসের অহেতুক চেষ্টা চলছে গনগনে রোদের গায়ে হিমি প্রলেপ লেপ্টে দেয়ার। ভ্যাপসা গরম পড়েছে। বেশ ফাঁকা ফাঁকা লাগছে মাহাথীরের ভেতরটা। স্মৃতিরা অদ্ভুত রকমের বুঁদবুঁদ তুলেছে হৃদয় সরোবরে।
আকাশের দিকে তাকিয়ে একাই প্রলাপ বকে মাহাথীর, নিজেই জানে না অমন প্রলাপ বকে সে কী বলে। এই যে জনারণ্য, শোরগোল, গাড়ির হর্নের বিদঘুটে আওয়াজ, ফেরিওয়ালার হাঁক সবই অসহ্য লাগছে।
মাথার উপর খোলা আকাশটা বেশ অচেনা লাগে আজকাল। বারান্দায় বসে কখনও বড় রাস্তাটায় কখনও আকাশে তাকায় মাহাথীর। ছুটির দিনগুলো এখন বড় বেশী বেদনাদায়ক। চারপাশের শব্দগুলো আড়াল করতেই এফএম শুনছে সে। কানে এফএম বাজছে। কিন্তু মন বেচারা ব্যাকপেসে বেশ ক’ছর পেছনে চলেগেছে। তার কাছে ব্যাপারটা বেশ বিশ্রী আর বিরক্তিকর লাগছে। চোখ দু’টো বন্ধ করতেই কানের কাছে কেউ অদ্ভুত ঘোরলাগা শব্দে হেসে উঠে। আহা!  কত আপন আর মধুর সে হাসি। অবাক বিস্ময়ে কতবার যে সেই হাসিতে ডুবে মরেছে মাহাথীর সে কেবল স্রষ্টাই জানেন।
চট জলদি চোখ খুলে মাহাথীর। এদিক ওদিক তাকিয়ে অবোধ শিশুর মত খুঁজতে থাকে নুহাকে। মুহূর্তেই সব গুল পাকিয়ে যায়, এক আকাশ বিষণ্ন মেঘ মাহাথীরকে ঘিরে ধরে। চিনচিনে ব্যথা হয় বুক পাঁজরের কোথাও। কিন্তু ব্যথাটা ঠিক কোথায় বুঝতে পারে না সে । 
পরিবেশ গাঢ় হয়ে যায় মুহূর্তেই। শিশুর মত ফ্যাল ফ্যাল চোখেরও ক্লান্তি চলে আসে। নুহা নেই …কোত্থাও নেই। মানতে চায়না মাহাথীরের মন।  বিরক্তির স্বরে বলে ওঠে—ধ্যাত! কিচ্ছু ভাল্লাগছে না। এই মেয়েটা আমার কাছ থেকে চলে গিয়েও আমাকে রেহাই দিচ্ছে না কেন? নুহা এবার সত্যিই তোমাকে ভুলতে চাই! আমি আর পারছি না জাস্ট পারছি না। হয় তুমি ফিরে এসো না হয় তোমাকে ভুলিয়ে দাও। 
বিরক্ত হয়ে রুমে গিয়ে সটান শুয়ে পড়ে মাহাথীর। সেখানেও পাশ বালিশটা বার বার মনে করিয়ে দেয় নুহাকে। সবটা জুড়েই নুহার বসত। রুমের প্রতিটি আসবাবে যেন নুহার গন্ধ লেগে আছে। দরজা জানালার পর্দাগুলো বাতাসের আলতো ছোঁয়া লেগে যখন দোল খেতে থাকে, মাহাথীরের মনে হয় নুহা পর্দাগুলো ছুঁয়ে ছুঁয়ে ঘরময় ছুটে বেড়াচ্ছে। মুখ ফসকে বেরিয়ে যায় হায় জীবন! নুহার স্মৃতি আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার কী যে প্রাণপন চেষ্টা।
হঠাৎ পাশে থাকা সেলফোনটা ক্রিং ক্রিং শব্দে বেজে ওঠে, মাহথীরের ঘোর কেটে যায়।  হঠাৎ বেড়ে যেতে থাকে মাহাথীরের হৃদ স্পন্দন। প্রতিবার কল আসলে যেমনটা হয় তেমনটাই হচ্ছে। কল আসলেই মনে হয় নুহার কল এসেছে। কিন্তু না, নুহার নামটি স্ক্রিনে আসে না। মোবাইলটা ছুঁড়ে ফেলে দিতে ইচ্ছে করছে।
হ্যালো ….
কী রে ব্যাটা কুম্ভকর্ণ কী করিস?
নিশ্চয়ই ঘরে বসে বসে বউকে ভাবছিস আর মেয়েদের মত চোখ মুছছিস? 
একটা লম্বা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে উদাস গলায় বলে মাহাথীর আরে নাহ্ … এই তো একটু  শুয়ে আছি। আজ ছুটি, কাজ নেই তো! কী আর করবো?  
তুই কী করিস রে? 
ঘুম থেকে উঠলাম ঘণ্টাখানেক হলো। উঠে নাস্তা সেরে পত্রিকা পড়ছিলাম। বিকেলের দিকে চল ধানমণ্ডি লেকে, জমপেস আড্ডা হবে আজ। সাজিদ, রাইয়ান, তমালকেও ডেকে নিবো। অনেক দিন সবাই একসাথে আড্ডা দেয়া হয় না। 
না রে … তোরা যা, আমার এসব আড্ডা ফাড্ডা ভালো লাগে না। দুপুরের খাবার খেয়ে খানিকক্ষণ ঘুমাবো। গ্রাম থেকে বাবা, মা এসেছেন। তোরা বরং বিকেলর দিকে আমার বাসায় চলে আয়। আম্মার হাতে রান্না করা মজার মজার খাবার খাওয়াবো।
সাধে কি আর তোকে কুম্ভকর্ণ বলি ব্যাটা!
আন্টির হাতের রান্না, সে অন্য দিন খাবো। 
যাবি না মানে! শালা!
একদম বাসা থেকে তুলে নিয়ে আসবো।
মাহাথীরের বুঝতে বাকি নেই—তার  মন খারাপ দেখে হয়তো মা অপুকে কল করে বলেছে তাকে নিয়ে বাইরে কোথাও ঘুরতে যেতে । 
মাহাথীর আর নুহা ঢাকা ভার্সিটিতে পড়াশুনা করেছে। ওখান থেকেই দুজনের পরিচয়। পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব। বন্ধুত্ব গড়িয়ে প্রেম। তিন বছরের সম্পর্কের রেশ ধরেই পারিবারিক ভাবে দুজনের বিয়ে হয়। প্রথম দিকে খুব সুখী ছিলো ওরা। ছয় বছর সংসার করার পরও ওদের কোনো সন্তান হয়নি। ডাক্তার দেখিয়েছে অনেকবার কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। দোষটা আসলে নুহার। এই নিয়ে শশুড়বাড়ির সবাই সব সময় অনেক কথাও শুনিয়েছে তাঁকে। অনেকবার মাহথীরকে দ্বিতীয় বিয়ের ব্যাপারে বলেছে নুহা। মাহাথীর পাত্তা দেয়নি।
সবার কথা শুনতে শুনতে এক সময় হাঁপিয়ে ওঠে নুহা। একদিন  মাহাথীর বাসায় ফিরে দেখে নুহা নেই।
বালিশের নিচে গুজে রেখে গেছে একটা চিঠি–
সিডনি চলে গেছে নুহা, বড় ভাইয়ের কাছে। চিঠিতে লিখে গেছে—সে যেন তাঁকে ভুলে গিয়ে, বংশ রক্ষার জন্য আবার বিয়ে করে সংসারী হয়।
কত দুঃসহ সময় যে কাটিয়েছে মাহাথীর সেটা তার আপন জনেরা সবাই জানে। নুহা চলে গেছে দুবছর হলো বাবা মা অনেক চেষ্টা করেও আবার  বিয়ে দিতে পারেননি মাহাথীরকে । 
চাপা ক্ষোভ আর অভিমানে কখনও কেউ কারো সাথে যোগাযোগ করেনি। তবে মাহাথীর প্রতিদিন অপেক্ষায় থেকেছে নুহার একটি কলের জন্য। মাহাথীরের মা বাবা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। নুহার সাথে যোগাযোগ করারও চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ততক্ষণে সময় অনেক গড়িয়ে গেছে। জীবন থেকে ঝরে গেছে বেশ কিছু দিন। 
মন মরা ম্লানমুখো মাহাথীর আজকাল অফিসের কলিগদের কাছেও বিরক্তিকর হয়ে ওঠেছে। চট করেই রেগে যায়। এককথা দুবার বললেই খেঁক খেঁক করে ওঠে। মুখ দেখলেই বুঝা যায় মাহাথীরের জীবনে ভালোবাসার কতটা অভাব, কতটা শূন্যতার হাহাকার বইছে তাঁর ভেতরটায় ।
নুহা সিডনীতে ভালই আছে। ভালো একটা জব করছে দুহাতে উপার্জন করছে। নিজের জন্য ঢাকায় একটা ফ্ল্যাট বাড়িও কিনেছে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও মাহথীরের শূন্যতা নুহাকেও কুড়ে কুড়ে খায়। নুহাও মাহাথীরকে ছেড়ে ভালো নেই। নুহা সবসময় মাহাথীরের খবর নেয় ওর রিলেটিভদের কাছ থেকে। প্রবাস জীবন কখনও নুহার পছন্দের ছিল না। তারপরও বুকের গহীনে বাংলাদেশ লুকিয়ে তাঁর এ প্রবাস জীবন। চোখের আড়াল হলেই নাকি মনের আড়াল একথা যদি সত্যি হয় তাহলে ওকে ভুলে গিয়ে আবার বিয়ে করে সংসারি হবে মাহাথীর। সে আশায় দিন গুণে যাচ্ছে নুহা। মাহাথীর বিয়ে করে সংসার করতে শুরু করলেই নুহা দেশে ফিরে এসে নিজের ফ্ল্যাটে উঠবে। নিজের মত বাঁচবে।
একাকীত্বের যন্ত্রণা আর হাহাকার বুকে নিয়ে প্রায় রাত ঘুমহীন কাটে মাহাথীরের। ঘুমহীন কত রাত বারান্দায় বসে কাটিয়ে দেয় সে তার হিসেব নেই। নুহার সাথে কাটানো সুন্দর সময়গুলো ভেবে ভেবে কখনও সুখ কখন দুঃখের স্রোতে ভাসিয়ে দেয় নিজেকে। মাহাথীর ভাবে কতটা দখল নিলে মানুষের ভেতর আরেক জন মানুষের এতটা আধিপত্য থাকে। নুহার বুকের মধ্যে মাহাথীর নামের প্রদীপ জ্বলে, মাহাথীরের বুকের মধ্যে নুহা নামের প্রদীপ জ্বলে।
খুব সংগোপনে, নিরন্তর জ্বলে। ব্যথার নদীটা নুহা নামের ঢেউ তুলে কূল ভাঙে আচড়ে পড়ে আবার শান্ত হয়। এর নামই হয়তো ভালোবাসা। মাহাথীর প্রলাপ বকে, নুহা তুমি আমাকে ছেড়ে যাওনি!  ভীষণভাবে আছো প্রতি নিঃশ্বাসের দৈর্ঘ্যপ্রস্থে।
খুব ভোর বেলায় ঘুম ভেঙেছে মাহাথীরের। বারান্দার কার্ণিশে সংসার পেতেছে দুটো চড়ুই। তাদের সংসারে নতুন অতিথি এসেছে। বাবা চড়ুই কিচির মিচির করে খুব ভোরেই বেরিয়ে যায় ছানাদের জন্য খাবার সংগ্রহ করতে। মা চড়ুইটা বুকের সবটুকু উষ্ণতা দিয়ে পাহারা দেয়, ছানা দুটোকে। মাহাথীর আনমনে বসে বসে দেখে আর ভাবে—আহা! আমদেরও এমন সুন্দর একটা সংসার হতে পারতো। বিধাতা কেন যে এত নিষ্ঠুর হলেন আমার ওপর? চড়ুইদের সংসার দেখে কখনও আবার খুব মন খারাপ হয় মাহাথীরের।
অফিসে আজ জরুরী মিটিং ডেকেছে বস। কে জানে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে?
মাহাথীরকে আজ দ্রুত বের হতে হবে। তাড়াতাড়ি বাথরুমে ঢুকে লাইটটা অন করতেই চোখ আটকে গেল বেসিনের ওপরের গ্লাসে আটকানো নীল রঙের টিপে। গত দুবছরে প্রতিদিন এমনটাই হয়েছে। অনেকবার ইচ্ছে করেছে টিপটা তুলে ফেলে দিতে, কিন্তু পারেনি। বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠেছে তীব্র ব্যথা। টিপে স্পর্শ করলেই যেন নুহাকে স্পর্শ করা হয়। ভেতরে কোথাও প্রশান্তির বাতাস বয়ে যায়। মুহূর্তেই মনটা ফুরফুরে হয়ে যায়। 
টেবিলে সাজানো নাস্তা থেকে দাঁড়িয়ে  দাঁড়িয়ে একগ্লাস অরেঞ্জ জুস ঢকঢক করে গিলে খুব দ্রুত বেরিয়ে যেতে যেতে মাহাথীর মাকে বলল, মা দেরি হয়ে যাচ্ছে, বস জরুরী মিটিং কল করেছেন, সময় মতো পৌঁছুতে না পারলে বস দুচার কথা শুনিয়ে দেবেন। মা দায়সারা গলায় বললেন ….আরে বাবা! এ আর নতুন কী? প্রতিদিন সকালে একটা না একটা বাহানা করে বেরিয়ে যাবি নাস্তা না করেই। এটা তোর অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এই ছেলেটাকে নিয়ে আর পারি না। একটা বড় অসুখ বাধিয়ে তারপর ক্ষান্ত হবি বাপ। জলদি ফিরিস বাবা, আর সময় করে কিছু খেয়ে নিতে ভুলিস না।
মসৃণ রাস্তা, জ্যাম নেই বললেই চলে। বাইকের স্পিড নব্বইয়ের কাঁটা ছুঁই ছুঁই। মাহাথীরকে পাশ কাটিয়ে আরেকটি বাইক সাঁই করে বাতাসের মতো দ্রুত বেগে চলে গেল। বাইকে বসা দুজন তরুণতরুণী নজর কাড়লো মাহাথীরের। মেয়েটি কেমন হ্যাংলার মত ছেলেটিকে জাপটে ধরে বসে আছে। হঠাৎ মাহাথীরের সব এলোমেলো হয়ে গেল। মাহাথীর এক ঝটকায় ফিরে গেল বেশ কবছর পেছনে।
নিজের মধ্যে প্রবলভাবে অনুভব করতে লাগলো নুহাকে। স্মৃতিকাতর হয়ে পড়লো। অন্যমনষ্ক হয়ে বাইক চালাতে লাগলো। সামনেই একটা ইউটার্ন। ইউটার্নটা ঘুরতে গিয়ে একটা লোকাল বাসের সাথে ধাক্কা লাগে, বাইকসহ ছিটকে পড়ে রাস্তার ওপাশে । রক্তাক্ত মাহাথীরকে অজ্ঞান অবস্থায় কয়েকজন পথচারি মিলে হসপিটালে নিয়ে যায় ।
দুদিন পর জ্ঞান ফেরে মাহাথীরের। দুটো পা মারাত্মকভাবে ভেঙেছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায়ও চোট পেয়েছে। আর কখনও উঠে দাঁড়াতে পারবে কি না একমাত্র স্রষ্টাই ভালো জানেন। জ্ঞান ফেরার পর মুখের প্রথম শব্দ ছিলো ‘নুহা’। মায়াভরা কণ্ঠে ছেলের মুখে  নুহা শব্দটি শুনে মা  কান্নায় ভেঙে পড়েন আর বলতে থাকেন আমরা সবাই অপরাধী বাবা। আমাদের জন্যই নুহা তোকে ছেড়ে চলে গেছে। মাহাথীর ফ্যাল ফ্যাল চোখে তাকিয়ে থাকে সবার মুখের দিকে। দেখলেই বুঝা যায় মাহথীরের চোখ দুটো কাউকে খুঁজছে। প্রায় রাতেই স্বপ্ন দেখে—নুহা, নুহা বলে চিৎকার দিয়ে ওঠে মাহাথীর। বাকি রাতটা জেগেই কাটিয়ে দেয়। নুহার প্রতি ছেলের এতো ভালোবাসা দেখে ভারি অবাক লাগে মায়ের। কেউ কাউকে এতটা ভালোবাসতে পারে! মা বেশ বুঝতে পারেন ছেলের এঅবস্থায় নুহাকে খুব প্রয়োজন। নুহা ছাড়া ছেলেকে বাঁচিয়ে রাখা অসম্ভব।

একদিন ভোরে মাহাথীর চোখ খুলেই দেখে শিয়রে বসে আছে নুহা। কপালে মাহাথীর নির্বাক ফ্যাল ফ্যাল চোখে তাকিয়ে আছে নুহার দিকে। নুহার মুখটা ভারি মলিন। চোখ দুটো ফোলা ফোলা লাল বর্ণের। ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে যাচ্ছে  নুহা। মাহাথীর ভেবে পাচ্ছে না। এটা কী সত্যি নাকি স্বপ্ন? নুহা আলতো ভাবে হাত রাখলো মাহথীরের হাতে। সেই চেনা স্পর্শ সেই অনুভূতি। মুহূর্তের মধ্যে ফাঁকা ফাঁকা বুকটা পূর্ণতার ঢেকুর তুলল যেন। এবার মাহাথীরের বিশ্বাস হলো সত্যি সত্যিই নুহা এসেছে। মাহাথীরের চোখের কোণ বেয়ে বাঁধ না মানা জলের স্রোত বইতে লাগলো। নুহা মাহথীরকে জড়িয়ে ধরে উষ্ণ ঠোঁটের ছোঁয়ায় ভিজিয়ে দিলো মাহাথীরের কপাল। পৃথিবীটা মুহূর্তেই বদলে গেল, সময় কিছুক্ষণের জন্য থামকে দাঁড়ালো। বাতাসে বাজতে থাকলো রিনরিনে একটা সুর … ভালোবাসা … এবং ভালোবাসা!


হাসনা হেনা