একই ধরনের ঘটনা যখন বারে বারে ঘটে তখন সেটাকে আর দুর্ঘটনা বলা চলে না। নির্মাণাধীন স্থাপনা থেকে মাথায় ইট পড়ে মৃত্যু এটাই প্রথম নয়। কততম সেটা বলা মুশকিল, তবে পিছনের পত্রিকা ঘেটে এরকম দশ বিশটি ঘটনা আপনি চোখ বুঝে পেয়ে যাবেন। প্রথম মৃত্যুটি সংগঠিত হবারকালে যদি আমরা আন্দোলনে ফেটে পড়তাম, ভবন মালিককে শাস্তির আওতায় আনা যেত, সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা যেত, তাহলে আজ হয়ত ব্যাংক কর্মকর্তা দিপু সানার এভাবে মরতে হত না।
নিচের শিরোনামগুলোতে একটু চোখ বুলান। ক্লিক করে পুরো খবরটা পড়ে নিন। তখন কেন আমরা একটি বড় আন্দোলন গড়ে তুলিনি। প্রতিটি জীবনকে মূল্যবান ভাবতে না পারলে কে কোথায় বেঘোরে মরবে তার আসলে কোনো ঠিক নেই।
১. নির্মাণাধীন ভবন থেকে মাথায় ইট পড়ে শিশুর মৃত্যু
২. নির্মাণাধীন ভবন থেকে মাথায় ইট পড়ে নারীর মৃত্যু
৩. পল্লবীতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইট পড়ে যুবকের মৃত্যু
৪. নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইট পড়ে এনজিওকর্মীর মৃত্যু
৫. রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইট পড়ে ছাত্র নিহত
৬. মাথায় ইট পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু
এখানে দৈবচয়নের ভিত্তিতে মাত্র ছয়টি ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতি বছরই এভাবে কয়েকটি মৃত্যু ঘটে। প্রতিটি মৃত্যুকে আমরা যদি সমানভাবে আমলে নিতাম, তাহলে হয়তো আজকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক দিপু সানার এভাবে প্রাণ দিতে হত না।