খুলনা মেডিকেল কলেজ ঘিরে দালাল এবং রাজনৈতিক পান্ডাদের দৌরাত্ম্য

follow-upnews
0 0
খুলনা
এভাবে শুয়ে বসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মানবেতরভাবে চিকিৎসা নিতে হয় রোগীদের। সকলের প্রশ্ন- কেন সরকার স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়াতে পারছে না? যতটুকু বরাদ্দ আছে, সেটুকুও কি যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয়?

খুলনা মেডিকেলে ঢুকলে যে কারো মনে হবে যে, এটা একটা শরণার্থী শিবির। এমনিতেই অপ্রতুল সুযোগ সুবিধা নিয়ে রোগীদের সেবা দিতে চিকিৎসকরা হিমসিম খায়। এর সাথে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক পাণ্ডাদের দৌরাত্ম্য। এমনকি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ওষুধের দোকানের প্রতিনিধিদের। রোগীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওষুধের তালিকা তৈরি হয়ে যাচ্ছে, কিছু ওষুধ কাজে লাগছে, কিছু ওষুধ কাজে লাগছে না, কিন্তু রোগীদের বিল ঠিকই দিতে হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অনেক চিকিৎসও নাকি এই সিন্ডিকেটের অন্তর্ভুক্ত। প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক, কারণ, চিকিৎসকেরা না চাইলে ওষুধের দোকানের কোনো প্রতিনিধি ওয়ার্ডে কীভাবে যায়। নিচের ছবির প্রেসক্রিপশনটি দেখুন— নিউরোপ্যাথিক পেইন নিয়ে অস্থির হচ্ছে, এরকম কোনো রোগীর জন্য এই প্রেসক্রিপশন হতে পারে? রোগীদের দাবী— খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটিকে সেবামূলক করার জন্য দালাল এবং রাজনৈতিক পান্ডাদের দূর করার কোনো বিকল্প নেই। কোনো এমার্জেন্সি রোগী গেলে আগে তারা কাগজ কলমে সবকিছু ঠিক রাখতে চায়, রোগীর বাঁচা মরা পরে! এমতাবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজের ওপর নজরদারী বাড়ানোর কোনো বিকেল্প নেই বলে দাবী করেছে রোগীর স্বজনেরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক বলেছেন, এত অপ্রতুল সুযোগ সুবিধা নিয়ে সেবা দেওয়া কঠিন, পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিচয়ের চিকিৎসকরা তাদের অনুগতদের দিয়ে যেভাবে খাবার সহ সকল জিনিসপত্রের সরবরাহ পেতে চায়, সেটি চিকিৎসাসেবা যথাযথভাবে দেওয়ার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।

—————————————————————————————————-খুলনা মেডিকেল কলেজ


Next Post

উপর থেকে মাথায় ইট পড়ে মৃত্যুঃ টনক নড়ার জন্য একজন ব্যাংক কর্মকর্তার মরতে হলো কেন?

একই ধরনের ঘটনা যখন বারে বারে ঘটে তখন সেটাকে আর দুর্ঘটনা বলা চলে না। নির্মাণাধীন স্থাপনা থেকে মাথায় ইট পড়ে মৃত্যু এটাই প্রথম নয়। কততম সেটা বলা মুশকিল, তবে পিছনের পত্রিকা ঘেটে এরকম দশ বিশটি ঘটনা আপনি চোখ বুঝে পেয়ে যাবেন। প্রথম মৃত্যুটি সংগঠিত হবারকালে যদি আমরা আন্দোলনে ফেটে পড়তাম, […]

এগুলো পড়তে পারেন