অতি মাত্রায় অথবা অল্প পানিতে স্যালাইন গুলে শিশুকে খাওয়ালে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে

follow-upnews
0 0

ফেসবুক থেকে

#স্যালাইন_গুলতে_না_জানার_পরিনতি_প্রিয়_সন্তানের_অকাল_মৃত্যু।।।

শিক্ষিত দুই পরিবারের দুটো ফুটফুটে বাচ্চা। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলো ।ORS প্যাকেট এনে খাওয়ানো হলো ।কিন্তুু অত্যন্ত দুঃখজনক 500 মি.লি. পানিতে স্যালাইন না গুলিয়ে ছোট্ট কাপের পানিতে একটু একটু করে গুলিয়ে খাওয়ানো হলো স্যালাইন। অনেক চেষ্টা করেও বাঁচানো গেলো না বাচ্চাকে।।

ভাবতে কষ্ট হয় আজও আমরা স্যালাইন বানানো শিখলাম না। দয়া করে 500মি.লি. পানিতে পুরো এক পেকেট স্যালাইন গুলবেন।১২ ঘন্টার মধ্যে শেষ না হলে ফেলে দিবেন। সামান্য ভুলে অসমান্য জীবন হারিয়ে যেতে পারে। তখন কিন্তুু সেই দুটো বাচ্চার মা বাবার মত চিৎকার করে কেঁদেও কোন লাভ হবে না।

বিঃদ্রঃ ছবি দুটো দিলাম শুধুমাত্র মনে দাগ কাটার জন্য।

খাবার স্যালাইনে যে লবণ থাকে তা মেইনলি সোডিয়াম ও ক্লোরাইড। এটা শরীরের মধ্যে ১৩৫-১৪৫ mmol/L লেভেলে থাকে। আপনি যদি এক প্যাকেট খাবার স্যালাইন আধা লিটার পানির চেয়ে কম পানিতে গুলান। এই সোডিয়াম লেভেল অনেক বেশি মাত্রায় তৈরি হবে স্যালাইন সলুশ্যন। যা শরীরের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে শরীরে মাত্রা ১৬০ ক্রস করলে প্রায় Lethal লেভেলে চলে যায়। সিম্পটম হিসেবে প্রকাশ পায়- Thirst, Muscle Twitching, Brain Damage… অবশেষে মৃত্যু।।

 

সামান্য অসচেতনতা, শিশুর মৃত্যুর কারণ হতে পারে।।

সবাইকে সচেতন করুন, সবাইকে জানিয়ে দিন।
Courtesy: Ziaur Rahman


এরকম ঘটনা কিন্তু বিরল নয়। খাবার স্যালাইনের ভুল ব্যবহারে অসুস্থ হয়ে পড়া এবং মৃত্যুর ঘটনা রয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি বেশি ঘটে।

জীবন রক্ষাকারী ওরাল (খাওয়ার) স্যালাইন পরিমিত না খেলে জীবনঘাতী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে আইসিডিডিআরবির গবেষণায় জানা গেছে। প্রতিবছর ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সাত ভাগ মানুষ অসচেতনতার কারণে না জেনে মাত্রাতিরিক্তি (ওআরজি) খাবার স্যালাইন খেয়ে শরীরে লবণের পরিমাণ বাড়িয়ে ফেলে। ফলে খিঁচুনিসহ মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। এক্ষেত্রে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। গবেষণায় জানা গেছে, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুর যে পরিমাণ পানিশূন্যতা হয় সে পরিমাণ স্যালাইন না দিয়ে মাত্রাতিরিক্ত স্যালাইন খাওয়ানোর ফলে ওই শিশুর শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর তখনই শিশুটির ব্রেনের কোষগুলো ধ্বংস হয়ে তা দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে শুরু করে। এতে প্রথমে  শিশুর খিঁচুনি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে বড়দের খিঁচুনি না হয়ে সরাসরি ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা থাকে। গত চার বছরের এক জরিপে দেখা গেছে, এ ধরনের রোগীদের প্রায় ১৯ ভাগেরই মৃত্যু হয়েছে।     

আইসডিডিআরবির চিকিৎসকরা জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত একটি শিশুর শরীর থেকে যে পরিমাণ পানি বের হবে ঠিক সে পরিমাণ খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। তবে এর আগে খাবার স্যালাইন বানানোর সঠিক নিয়মটি জানতে হবে। না জেনে অল্প পানিতে বেশি স্যালাইন মিশিয়ে খাওয়ালে ওই শিশুটির দেহে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যাবে এবং শিশুটি তখন বেশি বেশি খাবার স্যালাইন খেতে চাইবে। এমন ঘটনা হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকরে পরামর্শ নিতে হবে। না হলে ওই শিশুর দেহে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে খিঁচুনিসহ মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে। 

Next Post

বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নাকি এই ছবি তিনটির মতো জানা অজানা অসংখ্য ছবিই মূলত গত ৫০ বছরে অর্জিত বাংলাদেশের পরিচয়

  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ হত্যাকাণ্ড খুবই আলোচিত হয়েছিল। আপনাদের হয়ত অনেকেরই মনে আছে। বিচার পাওয়া না পাওয়া নিয়েও অনেক কথা তখন হয়েছিল। মনে থাকার কথা প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে দিয়াজ ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। নিহতের মা এটা প্রত্যাখ্যান করলে আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করা হয়। সেই সময়ের, […]
দিয়াজ হত্যাকাণ্ড