পাকিস্তানে ধর্ষণের শিকার যুবতির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত!

Karo-kari

১৯ বছর বয়সী ঐ যুবতীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করেছিল তার কাজিন খলিল আহমেদ। বিষয়টি তিনি গ্রাম পঞ্চায়েতকে জানালে পঞ্চায়েত কমিটি ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়।

পঞ্চায়েত কাউন্সিল কারোকারির সিদ্ধান্ত নেয়, পাকিস্তানে পরিবার অথবা সমাজের সম্মান বাঁচাতে কোনো নারীকে হত্যা করা হলে তাকে কারোকারি বলে।

পঞ্চায়েত কমিটি ঐ যুবতীকে পাথর মেরে হত্যা করার রায় দেয়, কারণ, তারা বুঝতে পারে যে ঐ যুবতী দ্বারা লোকটি ধর্ষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল।

যুবতীর পিতা দাবী করেন যে তিনি পঞ্চায়েতের ঐ সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন।

মেয়েটির পিতা বলেন, পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়াই গ্রামের রীতি, তাই তিনি তা মেনে নিতে বাধ্য ছিলেন।

আক্রান্ত ঐ নারী বিচার (অবিচার) মেনে না নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।

তিনি বলেন, আমার ভাষ্য পঞ্চায়েত গ্রহণ করেনি। তারা বলেছে যে আমি কাজিনের সাথে স্বেচ্ছায় বিছানায় গিয়েছি ফলে এতে আমার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিৎ।

ইতোমধ্যে ঐ নারীকে সরকারি নিরাপদ আবাসনে নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত ধর্ষক এবং গ্রামের পঞ্চায়েত কমিটির মাতবরকে আটক করা হয়েছে।


সূত্র : ডেইলি মেইল, দ্য ডন।