১৯৭৯ সালে ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকে ইরানে জনসমক্ষে নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক হয়েছে৷ সম্প্রতি ইরানের পুরুষরা নারীদের হিজাববিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে অভিনব প্রচারণা শুরু করেছেন৷
নারীরা হিজাব না পরলে বা হিজাব পরিধান করার পরেও চুল দেখা গেলে জরিমানা থেকে কারাবাস পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। সরকার অনুমোদিত বিলবোর্ডে বলা হয় যারা চুল ঢাকে না তারা উচ্ছন্নে গেছে এবং অসম্মানিত। যে নারীরা এই নির্দেশ মানে না তারা পুরুষদের থেকে অপ্রত্যাশিত যৌন আকর্ষণের সম্মুখীন হতে হবে। নারীরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছে। মাথার চুল ফেলে দিয়ে হিজাব ছাড়া জনসম্মুখে উপস্থিত হচ্ছেন।
মাসিহ আলিনেজাদ নামের এক ব্যক্তি নিজের মৃত মায়ের হিজাব পরিধান করে ছবি পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ইসলামিক বিপ্লবের পরে আমার মা হিজাব পরা শুরু করেন, কারণ তখন তা বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু তিনি কখনো হিজাবে বিশ্বাস করতেন না। গ্রীষ্মের তপ্ত গরমে তাকে হিজাব পরতে হয়েছে বাধ্য জয়ে। আমার মা চলে গেছে, কিন্তু তার পোশাক রয়ে গেছে। আমি কখনো কখনো তার পোশাক পরিধান করে মনে করার চেষ্টা করি ওই গরমের দিনগুলোর কথা যখন মা হিজাব পরে বাজার করে ফিরে আসতো, ফিরে আসার পরে তার কথা বলার শক্তি পর্যন্ত থাকতো না।