ঘুরে আসতে পারেন গোপালগঞ্জের পদ্মবিলে

শেখ ফজলুল করিম

গোপালগঞ্জ জেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের করপাড়া গ্রামে এ বিলটি অবস্থিত। এটিকে বলাইকড় বিলও বলা হয়, এটিই মূলত প্রকৃত নাম বিলটির। ১৯৮৮ সাল থেকে প্রাকৃতিকভাবে বর্ষা মৌসুমে এ বিলে পদ্মফুল জন্মে। শীত মৌসুমে এখানে ধানের চাষ হয়। আবার বর্ষা মৌসুমে ঠিকই পদ্মফুল ফোঁটে। 

গোপালগঞ্জ জেলা সদরে এসে সহজেই যাওয়া যায় কড়পাড়া গ্রামে। গোপালগঞ্জ সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে এ বিলটি অবস্থিত। চলতি পথটুকুও খুব সুন্দর, গ্রাম্য পাকা রাস্তা, দুই পাশে নয়নাভিরাম দৃশ্য।   

https://youtu.be/-7cIrHYbsHs

বনগ্রাম, গোপালগঞ্জ
প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া পদ্মফুলের কারণে গোপালগঞ্জের এই বিলটির নাম হয়েছে পদ্মবিল। দেখে মনে হয়, কেউ যেন হাজার হাজার একর জুড়ে পদ্মফুলের চাষ করেছে।পদ্মবিলের এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের।

 

 

কড়াপাড়া, গোপালগঞ্জ
সরকারিভাবে কোনো নির্দেশনা বা ব্যবস্থা নেই এখানে। পর্যটকরা নিজেদের মতো ব্যবস্থা করে এই বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করে থাকে।
ঘুরতে গিয়ে ফুল ছিড়ছে অনেকে, যেটি কোনো বিচারেই গ্রহণযোগ্য নয়। আপনি যে ফুলটি ছিড়ছেন আপনার পরের পর্যটক ঐ ফুলের সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত হলো, এবং বঞ্চিত করলেন আপনি।

শেখ ফজলুল করিম

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার বাংলা বলেন, ‘গোপালগঞ্জে তেমন কোনও পর্যটনকেন্দ্র নেই। সম্প্রতি গোপালগঞ্জের বলাকইড় বিলসহ বিভিন্ন বিলে পদ্মফুল ও লাল শাপলা পর্যটকদের আকর্ষণ করছে। এসব পর্যটনকেন্দ্র আরও  আকর্ষণীয় করতে জেলা প্রশাসন কাজ করছে।’

প্রতিদিন দর্শনার্থী আসায় স্থানীয়দের জন্য সৃষ্টি হয়েছে নৌকা চালনাসহ কিছু জীবীকার মাধ্যম।
বর্ষার ভরা মৌসুমে বিলটি সবচে সুন্দর দেখায়। তবে স্থানীয়দের দাবী পদ্মবিলটি থেকে বাণিজ্যিক কারণে এবং দর্শনাথীদের ফুল-পাতা ছেড়া বন্ধ করতে পারলে বিলটি আরও সুন্দর থাকবে।

https://youtu.be/mHTCTM5mKxw?t=8