রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শশুর বাড়িটি যেমন ছিল এবং সংস্কারের পরে যেমন হয়েছে

দক্ষিণডিহি
ফুলতলা, খুলনা
খুলনার ফুলতলার দক্ষিণডিহি গ্রামে অবস্থিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শশুর বাড়িটি যেমন ছিল।

 

রবীন্দ্রনাথ
সংস্কারের পরে বাড়িটি এমন হয়েছে।

দক্ষিণডিহি

দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র কমপ্লেক্স, বাড়িটি এবং চারপাশের স্থান মিলে এ কমপ্লেক্স (সংস্কারের পরে এ নামকরণ করা হয়েছে) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত একটি স্থান, যা খুলনা বিভাগের ফুলতলা উপজেলার দক্ষিণডিহি গ্রামে অবস্থিত। খুলনা-যশোর রোডের পাশ্ববর্তী স্থানে পড়েছে এ গ্রামটি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরবাড়ি এটি।কোলকাতার জোড়া সাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে দক্ষিণ ডিহির সম্পর্ক এ কারণে নিবিড়। আরো যেটি গুরুত্বপূর্ণ—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মা সারদা সুন্দরী দেবী জন্ম গ্রহণ করেছিলেন এই দক্ষিণডিহি গ্রামে। এছাড়া রবীন্দ্রনাথের কাকী ত্রিপুরা সুন্দরী দেবী এই গ্রামেরই মেয়ে। রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী মৃণালিনী দেবী দক্ষিণ ডিহির মেয়ে। তাঁর ভালো নাম ভবতারিণী, বিবাহের পর তাঁর নাম রাখা হয় মৃণালিনী দেবী। ১৯৮২ সালে পুজার ছুটির সময় জ্ঞানদানন্দিনী দেবী উৎসাহী হয়ে বাস্তভিটা দেখবার অযুহাতে যশোরের নরেন্দ্রপুর যান। উদ্দেশ্য কাছাকাছি পীরালী পরিবারের মধ্য হতে বধু সংগ্রহ। জ্ঞানদানন্দিনীর সঙ্গে কাদম্বরী দেবী, বালিকা ইন্দ্রানি, বালক সুরেন্দ্র নাথ ও রবীন্দ্রনাথ আসেন পুরাতন ভিটা দেখতে সে সময় ফুলতলা গ্রামের বিনিমাধব রায় চৌধূরীর কন্যা ভবতারিনীকে তারা দেখেন। ১২৯০ বঙ্গাব্দের ২৪ অগ্রহায়ণ বেণীমাধব রায়চৌধুরী ও দাক্ষায়ণী দেবীর একমাত্র কন্যা ভবতারিণী ওরফে ‘ফুলি’র সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ের পর ঠাকুরবাড়ির প্রথানুযায়ী ভবতারিণীর নাম হয় ‘মৃণালিনী’। 

এখানে কবিগুরু ও কবিপত্নীর আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। ২৫শে বৈশাখ ও ২২শে শ্রাবণে এখানে নানা আয়োজনে রবীন্দ্রজয়ন্তী ও কবিপ্রয়াণ দিবস পালন করা হয়।

https://youtu.be/wGcKzrbMyBY