উপরের বইটি দেখুন। বইটি লেখা হয়েছে প্লে/নার্সারির শিশুদের জন্য, অর্থাৎ একেবারেই দুগ্ধ শিশুদের জন্য। বইটির বিন্যাস নিয়ে কথা না হয় বাদ দেওয়া গেল, কিন্তু কী পড়ানো হচ্ছে শিশুদের? নিচের ছবিটি দেখুন। ‘আ’ বর্ণটি শেখানোর জন্য যে বাক্যটি লেখিকা এখানে ব্যবহার করেছেন তা রীতিমত বিস্ময়কর।
নিচের ছবিতে সূর্যের পাশে দেওয়া হয়েছে ‘ঊ’। এটা দেখে আমাদের এলাকার একটা গল্প মনে পড়ে গেল। শিক্ষা অফিসার এসেছেন স্কুল পরিদর্শনে, ওয়ান ক্লাসে গিয়ে বই খুলে এক ছাত্রীকে বইয়ের ছবি দেখিয়ে প্রশ্ন করলেন, বলোতো, ‘ডা …ব’ কী হয়? মেয়েটি ছবি দেখে উত্তর দেয়, ‘নারকেল’। নিচের এই ছবিটি দেখে প্লে শ্রেণির একজন শিশু পড়বে, ‘ঊ’ তে সূর্য।
ছবি দেখুন। ছড়ার গুণ-মানের কথা থাক, কিন্তু ‘বুদ্ধি’ শব্দটি যেভাবে লেখা হয়েছে তা থেকে প্লে’র একজন শিশু কী শিখবে? আরও অনেক শব্দের ক্ষেত্রেও এমন করা হয়েছে।
‘দোয়াত কালি কই’ -এটি একটি প্রশ্নবোধক বাক্য, কিন্তু বাক্যটি সঠিকভাবে লেখা হয়নি। তারপরে লেখা হয়েছে, “খোকন রেগে টং”, রেগে টং —জিনিসটা কী? ছন্দ মেলানোর জন্য লেখা হয়েছে, “খেলবে না পিংপং”। পিংপং যেহেতু একটি অপরিচিত খেলা তাই পিংপং খেলার ছবি লেখিকা দিতে পারতেন, কিন্তু লেখিকা দিয়েছেন ‘রেগে টং’ -এর ছবি! এর পরের পৃষ্ঠায় হিজিবিজি করে কী বোঝাতে চাওয়া হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়। শেষ পৃষ্ঠায় যে ছড়াটি দেওয়া হয়েছে তা আরও বেশী বিস্ময়ের খোরাক জোগায়।