কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী নিজামীর ফাঁসি কার্যকর

1

কলংকমোচনের পথে আরেক ধাপ এগোলো বাংলাদেশ। ফাঁসিতে ঝুলানো হলো কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীকে। একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাবনা এলাকায় যে ‘মইত্যা রাজাকার’ নামে আতংক  ছিল।

বুধবার প্রথম প্রহরে (মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিটে) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত ইসলামের  আমীর দেশের মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করে।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৬ টি অভিযোগ এনে প্রসিকিউশন। এরমধ্যে ৩ অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। যা রিভিউ আপীলেও বহাল থাকে।

সকল আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই ফাঁসিতে ঝুলানো হয় এই বদরপ্রধানকে। নানা ষড়যন্ত্র, ছলচাতুরী আর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করেও ফাঁসির দড়ি এড়াতে পারেননি নিজামী।

যে তিন অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড

অভিযোগ-২: একাত্তরের ১০ মে বেলা ১১টার দিকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বাউশগাড়ি গ্রামের রূপসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি সভা হয়। স্থানীয় শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকারদের উপস্থিতিতে ওই সভায় নিজামী বলেন, শিগগিরই পাকিস্তানি সেনারা শান্তি রক্ষার জন্য আসবে। ওই সভার পরিকল্পনা অনুসারে পরে ১৪ মে ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বাউশগাড়ি, ডেমরা ও রূপসী গ্রামের প্রায় সাড়ে ৪০০ মানুষকে পাকিস্তানি সেনারা হত্যা করে। প্রায় ৩০-৪০ জন নারীকে সেদিন ধর্ষণ করে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা।

অভিযোগ-৬: নিজামীর নির্দেশে ১৯৭১ সালের ২৭ নভেম্বর পাবনার ধুলাউড়ি গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজতে যায় পাকিস্তানি সেনা ও তাদের দোসর রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা। তারা গ্রামের ডা. আব্দুল আউয়াল ও তার আশেপাশের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৫২ জনকে হত্যা করে।

অভিযোগ-১৬: মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ঊষালগ্নে অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে আলবদর বাহিনী। দেশের বুদ্ধিজীবী শ্রেণীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিতভাবে আলবদর সদস্যরা ওই গণহত্যা ঘটায়। জামায়াতের তৎকালীন ছাত্রসংগঠন ইসলামী