স্ত্রী-সন্তানদের সামনেই ছোট ভাইকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা

follow-upnews
0 0

১

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বড় ভাই ও তার পরিবারের লোকজন ছোট ভাই আকমাল হোসেনকে প্রকাশ্যে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ সময় আকমালের স্ত্রীসহ দুই সন্তানকে ঘরে আটকে রাখা হয়।

বাড়ির সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার চরপাড়া এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত আকমাল হোসেন ওই এলাকার বলাই হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় ভ্যানচালক।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির সীমানাপ্রাচীর নিয়ে আকমাল হোসেনের সঙ্গে তার বড় ভাই সাদেক হোসেনের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে প্রায়ই দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হতো।

সোমবার সকাল ৮টার দিকে ফের আকমাল হোসেনের সঙ্গে তার বড় ভাই সাদেক হোসেনের বাকবিতণ্ডা হয়।একপর্যায়ে সাদেক হোসেন, তার ছেলে সুমন ও সোহাগ ধারালো বঁটি দিয়ে আকমাল হোসেনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে। পরে হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধারালো বঁটি উদ্ধার করে। নিহত আকমালের স্ত্রী মরজিনা আক্তার বলেন, তার স্বামীর সঙ্গে ভাসুর সাদেক হোসেনের বাড়ির সীমানাপ্রাচীর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।

সাদেক হোসেন তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় গরু পালন করত। আর গরুর বিষ্টা তাদের জায়গায় ও বসতঘরের কাছে ফেলত। এতে দুর্গন্ধ সহ্য করতে তাদের কষ্ট হতো। এ নিয়েও দুই ভাইয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হতো। সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে একাধিকবার তাদের বিবাদের মীমাংসাও করা হয়েছিল।

কিন্তু সাদেক ও তার পরিবারের লোকজন সালিশ বৈঠকের পরও তাদের ইচ্ছেমতো চলত। গত রোববার সন্ধ্যায়ও তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়।

মরজিনা আক্তার আরও অভিযোগ করে বলেন, ভাসুর সাদেক হোসেনের স্ত্রী সুমা বেগম, মেয়ে তাকমিনা ও নিলা মিলে তাকেসহ দুই কন্যা রিয়া (৯) ও ফাতেমাকে (৫) ঘরে আটকে রাখে। এরপর ভাসুর সাদেক হোসেন ও ভাসুরের দুই ছেলে সুমন ও সোহাগ তার স্বামী আকমাল হোসেনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে।

এদিকে নিহত আকমাল হোসেনের শিশুকন্যা রিয়া ও ফাতেমা বাবাকে হারিয়ে পাগলপ্রায় হয়ে গেছে। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের পর ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তা না হলে হত্যাকারীদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হবে বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, হত্যার সঙ্গে জড়িতরা ঘটনার পরপরই পালিয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Next Post

দলিত নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা গুরুত্বের সাথে দেখা হয় না

গণধর্ষণের পর এক কিশোরীকে গাছের সাথে ঝুলিয়ে হত্যার ঘটনার পর থেকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে ফুঁসছে ভারতীয়রা৷ আইন বিশেষজ্ঞ ইন্দিরা জয়সিং বলেছেন, আইনি এবং রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা না থাকাই এ ধরনের ঘটনা বার বার ঘটার কারণ৷ এ ঘটনার পর এ বছরই উত্তর প্রদেশের একটি গ্রামে ১৪ ও ১৫ বছরের দুই কিশোরী মাঠে প্রস্রাব […]