জিআরই পরীক্ষায় ভাল করতে হলে গণিতে আপনাকে ভাল হতেই হবে। চ্যালেঞ্জটা নিতে আপনাকে প্রস্তুত হতে হবে। নিচের দশটি কৌশল মাথায় রাখলে ম্যাথে ভাল করা সহজ হয় :
১। বর্ণামূলক অংকগুলোর ক্ষেত্রে বাক্যের অর্থ বোঝা খুব জরুরী। দুই একটি শব্দের জন্যওে উত্তর ভিন্ন হতে পারে, তাই ধীর স্থিরভাবে বক্তব্যের অন্তর্নহীত অর্থ বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
২। সব অংকে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে গেলে আপনি সময়ের সাথে পারবেন না। মনে মনে হিসেব করা শিখতে হবে। বড়জোর দুই তিনটি অংকে ক্যালকুলেটর লাগতে পারে।
৩। কোয়ানসিটেটিভ সেকশনে বিশটি প্রশ্নের জন্য পয়ত্রিশ মিনিট সময় দেওয়া হয়। এর মধ্যে কোন কোন অংক এক মিনিটে হয়ে যাবে। কোনটাতে দুই মিনিট লাগতে পারে। ক্ষেত্রবিশেষ দুই মিনিটের বেশি ব্যয় করে ফেললে সেটি হিসেবে রাখতে হবে।
৪। কোয়ানটিটেটিভ কম্প্রিহেনসন উত্তর করার সময় কম্প্রিহেনশনে দেওয়া তথ্যগুলো মনে রাখুন, কিছু লিখে রাখুন।
৫। অপশনে নাম্বার থাকলে প্রব্লেম সলিভং কোয়েশ্চেন উত্তর করার সময় ব্যাকসল্ভিং কাজে আসে। ব্যাক সলভ করে উত্তর মেলান। প্রথম দুটি অপশন যাচাই করলে উত্তর পাওয়ার সম্ভাবনা ৪০%।
৬। কিছু ক্ষেত্রে নম্বর ধরে নিয়ে উত্তর মেলান। যেমন : যদি প্রশ্ন করা বিজোড় বিজোড় যোগ করলে কী হয়। সেক্ষেত্রে দুটি বিজোড় সংখ্যা ধরে নিয়ে যোগ করে দেখলে হয়ে যায়। বিজোড় বিজোড় যোগ করলে অবশ্যই জোড় হয় এটি মুখস্থ রাখার কোন প্রয়োজন নেই।
৭। নিজের উপর আস্থা রাখুন। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে চেষ্টা করতে থাকুন। প্রথমে ট্রেডিশনাল মেথডে চেষ্টা করুন। এরপর নিজের স্ট্রাটেজি অ্যাপ্লাই করুন।
৮। কোয়ানশিটেটিভ কম্প্রিহেনশন এনসার করার সময় প্রশ্নগুলো মনে রেখে কম্প্রিহেনশন পড়ুন, তাতে কিছু সময় বাঁচবে।
৯। ডাটা অ্যানালাইসিস করার সময় হুট করে প্রশ্নে চলে যাবেন না। ডাটাগুলো খেয়াল করুণ। ভেরিএবলগুলোর পরস্পর সম্পর্ক দেখুন। এরপর প্রশ্নেগেল সহজেই উত্তর পাওয়া যাবে।
১০। জ্যামিতি এনসার করার সময় ফিগারগুলো প্রয়োজনে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বুঝতে হবে। প্রয়োজনে পুনরায় এঁকে নিতে হবে।
সৌজন্যে : জিআরই পরীক্ষা : কেন এবং কীভাবে?