আইএসআই সম্পর্কে যে পাঁচটি তথ্য সম্ভবত আপনি জানেন না

পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই বা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টালিজেন্স সম্পর্কে বহু মিথ ছড়িয়ে আছে। তার ক’টা ঠিক, আর ক’টা ভুল, বোঝা কঠিন। রইল ৫টি বাস্তব তথ্য।

পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার লোকেরা নাকি বাংলাদেশের অলিতেগলিতে ছেয়ে গিয়েছে। এমন মিথ থেকে শুরু করে একাধিক কল্পকাহিনী রয়েছে আইএসআই-কে ঘিরে। কিন্তু বাস্তবতা কী বলছে? রইল পাঁচটি তথ্যঃ

১. ১৯৪৮ সালে স্থাপিত হয় আইএসআই। উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী গুপ্তচর সংস্থা। ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো, মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স, নেভাল ইন্টেলিজেন্স এবং এয়ার ইন্টেলিজেন্স— এই চারটি ভাগ রয়েছে আইএসআই-এর। ১৯৪৭-এ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতের কাছে গুপ্তচরবৃত্তিতে জোর ধাক্কা খেয়েছিল পাকিস্তান। তার পরেই আইএসআই গঠনের সিদ্ধান্ত।

২. আফগানিস্তানে মুজাহিদিন গেরিলাদের হাতে পশ্চিম থেকে আসা অস্ত্র এবং অর্থ পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করেছিল আইএসআই। সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধে (ডিসেম্বর ১৯৭৯ থেকে ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯) গেরিলাদের হাতে অস্ত্র যেত আইএসআই-এর হাত ধরেই। রুশ সেনার বিপুল ক্ষতি করেছিল আইএসআই। এই বিদ্রোহী গেরিলাদের থেকেই জন্ম তালেবানের।

৩. এ যাবৎ কোনও আইএসআই এজেন্ট ধরা পড়েননি। এটি একটি মিথ। কেননা, আইএসআই এজেন্ট সন্দেহে যারা ধরা পড়েছেন, তাদের কারও দায় পাকিস্তান সরকার কোনও দিন নেয়নি। সাধারণত কোনও দেশের সরকারই গুপ্তচরবৃত্তির দায় নেয় না। তাই আইএসআই চর ধরা পড়েননি, সে কথা সঠিক নয়।

৪. আইএসআই আল কায়দা এবং তালিবান জঙ্গিদের গ্রেফতার করে না বলে শোনা যায়। যদিও বাস্তব হিসেব বলছে, একাধিক তালিবান এবং আল কায়দা নেতা ধরা পড়়েছে আইএসআই-এর হাতে। আমেরিকার সিআইএ-র হাতে হাত মিলিয়ে আইএসআই কাজ করেছে। রামজি ইউসেফ, আবদুল গণি বরাদর, আহমেদ ওমর সইদ শেখের মতো জঙ্গি নেতারা ধরা পড়েছে আইএসআই-এর তৎপরতায়।

৫. বলা হয়, আইএসআই-এর এজেন্ট নাকি অসংখ্য। কোথায়, কে আইএসআই এজেন্ট, তা নাকি বলা দুঃসাধ্য। আইএসআই-এর রিক্রুটমেন্ট সেল খুব পোক্ত। রিক্রুটমেন্টের তালিকায় সাধারণ চাকুরে থেকে উচ্চপদস্থ আধিকারিক— শোনা যায় তালিকা নাকি দীর্ঘ।