কাঁদো ফিলিস্তিন কাঁদো // প্যমেলিয়া রিভিয়ের

follow-upnews
0 0
আমি দুঃখিত,
এবং হতাশা বোধ করি,
আমি যখন “ডোরাকাটা পায়জামা পরা ছেলেটির কষ্ট” চলচিত্র দেখি,
ইহুদি ছেলেটির ব্যথা ও দুর্ভোগ আমার হৃদয় ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে দিয়েছিলো!
প্রতিদিন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শিশুদের সাদা কাপড় দিয়ে মৃতদেহ মোড়ানোর দৃশ্য—
পৃথিবী হাউমাউ করে কাঁদে,
ভূমধ্যসাগর গর্জন করে,
আমি বিবমিষা আর স্থবিরতা অনুভব করি!
এটা যুদ্ধ নয়,
এটা একটা গণহত্যা!
হাজার হাজার শিশুকে হত্যা করেছে,
মানবশিশুদের কী অপমান!
মৃত ফিলিস্তিনি সন্তানরা বাবার কোলে,
দাফনের অপেক্ষায়!
মায়ের কান্না, হাহাকার আর চিৎকার শুনতে পাচ্ছি,
সে তার সন্তানদের আলিঙ্গন করতে পারবে না আর কোনোদিন,
তারা তার সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে!
যখন বাবা-মা তাদের মৃত শিশুদের ধরে বিলাপ করে,
পাখিরা চোখ বন্ধ করে, কানে তুলো দেয়!
নিঃশ্বাস নিতে দ্রুত ডানা ঝাপটায়,
আর বুক ভরা ব্যথা নিয়ে উঁচুতে উড়ে যায়,
এই রক্তাক্ত পৃথিবী থেকে বাঁচতে!
বোমার অবিরত বর্ষণ থেকে বাঁচতে,
পাখিরা নিকষ কালো গাজার আকাশ থেকে উড়ে যায়!
অসহায় মানুষ ও পশুরা ছুটতে থাকে ফিলিস্তিনের দক্ষিণ দিকে!
আমি টের পাচ্ছিলাম আমি কাঁপছি,
আমার ভেতর আর বাহিরটা যেন খান খান হয়ে ভেঙে গেছে!
গাজায় অসংখ্য শিশুর প্রাণহানি, আমার নৈতিকতা ও বিবেকে দাগ ফেলেছে।
আজ আমার হৃদয় ভেঙ্গে কাঁচের মতো গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনিদের ব্যথা এবং দুর্দশা,
আর হাজার হাজার নিষ্পাপ শিশুর মৃত্যু দেখে।
আমি চুপ করে থাকতে পারি না,
আমার কলম ধরেছি এই বিশ্বকে জানাতে যে ফিলিস্তিনের মানুষের কী হচ্ছে!
ফিলিস্তিনি শিশুরা মারা যাচ্ছে,
অসহায় বেসামরিক নারী-পুরুষ মারা যাচ্ছে,
সেইসাথে প্রতিদিন,
পৃথিবীর নৈতিকতা এবং বিবেকও মরছে!
জেগে থাকা কবুতরের মতো চোখ বন্ধ করে থেকো না,
বধির এবং বোবা হওয়ার ভাণ করো না,
দয়া করে আর চুপ করে থেকো না!
“কাঁদো ফিলিস্তিন, কাঁদো, তোমার ভূমি পরিণত হয়েছে নিষ্পাপ মৃত শিশুদের লাশে,
সাদা কাপড়ে মোড়ানো।”
ইসরায়েলিদের কালো থাবা থেকে,
তাদের নৃশংসতা থেকে,
ফিলিস্তিনিদের বাঁচানোর জন্য,
এটি তোমার শেষবারের জন্য জেগে ওঠার আহ্বান!
পৃথিবীর শান্তি রক্ষা করতে,
মানবতাকে বাঁচাতে,
জেগে ওঠো,
এবং তোমার আত্মাকে আলোকিত করো!
অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও!

প্যমেলিয়া রিভিয়ের

২৭/১০/২০২৩
অন্টারিও, কানাডা
Pamèlia Rivière
Next Post

খাসির বিচিতে কোনো ভগবান বাধা নেই // দিব্যেন্দু দ্বীপ

কেন ওরা মৌমাছি পোষ মানায় মৌমাছিরা কি জানে না তা? তবু আমার মতো বুঝতে চায়নি তোমাদের দানবিয়তা। বিন্দু বিন্দু করে জমানো সম্পদ সব হারিয়ে স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে বাঁচে, আবার নাচে! একই উপায়ে ঘর বানায়, ঘর সাজায়, হায়! আবার সব হারায়। স্বজন বাড়ে, বৃদ্ধ মৌমাছি তবুও ঘর গড়ে! মানুষ ভাবে […]
দিব্যেন্দু দ্বীপ