বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর আয়োজনে, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে, ১১ মার্চ ২০১৭ তারিখে কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষ, বাংলা একাডেমিতে ‘বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড়ো অবদান’ শিরোণামে অনুষ্ঠিত হয় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ড. বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর-এর একক বক্তৃতা।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
সভাপতিত্ব করেছেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, সভাপতি, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী।
সামরিক মতাদর্শের পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিপরীতে দাঁড়িয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নাগরিক সমাজের মানুষের মধ্যে গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের বোধ তৈরি করাকে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় অবদান বলে মন্তব্য করেন আলোচক অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর।
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় অবদান- পূর্ব পাকিস্তানের সিভিল সমাজের বোধ তৈরি করা।”
“এ বোধ থেকে তিনি, তার সহযোগীরা এবং সমগ্র জনসাধারণ পাকিস্তান রাষ্ট্রকে প্রতিরোধ করেছেন। প্রতিরোধের এক দিকে ছিল রাষ্ট্র, অন্যদিকে ছিল সিভিল সমাজ। বঙ্গবন্ধু তার ভিত্তিতে জাতীয়তাবাদ গড়ে তুলেছিলেন।”
অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন বলেন, “বঙ্গবন্ধুর বড় অবদান কলোনিয়াল পূর্ব পাকিস্তানের বিপরীতে সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন। দ্বিতীয়ত, জাতীয়তাবাদের আন্দোলনকে গণতন্ত্রের আন্দোলনের সমান্তরাল করে গড়ে তোলা।
লেখক, সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেন, “একাত্তরের মার্চ মাসেই ঘটেছিল পৃথিবীর বৃহত্তম গণহত্যা। এই দিনটিকে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের আন্দোলন করেছি। সংসদে বির্তকের পর তা পাস হতে যাচ্ছে। আশা করি এরপর থেকে গণহত্যা নিয়ে বিভ্রান্তির সুযোগ থাকবে না।”
“বঙ্গবন্ধু সামরিক শাসনের মতাদর্শ প্রত্যাখান করে সিভিল শাসন প্রতিষ্ঠার দিকে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক স্ট্র্যাটেজিকে ব্যবহার করেছিলেন।”
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক চর্চা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘মার্চে পৃথিবীর বড় অসহযোগ আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু অবিস্মরণীয় ভাষণ দিয়েছেন। ২ মার্চ স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু হয়েছে। ২৬ মার্চে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে গ্রেফতার হন। অতএব, মার্চ মাস আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর সবই ছিল বঙ্গবন্ধুকেন্দ্রিক।’
এর আগে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মিলনীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাহবুবর রহমান।