গ্রামের নাম বিরলী: ছবি ব্লগ

follow-upnews
0 0

দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় অবস্থিত বিরলী গ্রাম। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষি নির্ভর, তবে এখনো সেখানে বেশিরভাগ মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বাস করে। কৃষেক্ষেতে দিনমজুরের সংখ্যাই বেশি। ঘরবাড়ি মাটির, কিছু বাড়ি কাঠের, পাকা বাড়ির সংখ্যা হাতেগোনা। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে অল্প কিছু গরুবাছুর এবং হাঁস মুরগী রয়েছে। শীত এখানকার মানুষের জীবনধারায় বিশেষভাবে প্রভাব বিস্তার করে। তীব্র শীতে খুব সকালে কাজ শুরু করতে অসুবিধা হয়, সকাল হয় খুব দেরিতে, ৯টা/১০টার আগে কুয়াশা কাটে না, মাত্র পঞ্চাশ হাত দূরেও কিছু দেখা যায় না। তবে গ্রামের মাঠের চিত্র ভিন্ন রকম, চোখে পড়ে বিভিন্ন ধরনের ফসল এবং হলুদ ফুলে ছাওয়া শরিষা ক্ষেত। আমরা গিয়েছিলাম শীতের শেষে (১ ফেব্রুয়ারি), কিন্তু শীতের তীব্রতা সামান্য কমলেও কুয়াশা ঘেরা গ্রামটির সকাল আমরা উপভোগ করেছি, বিকালে গিয়েছি বিভিন্ন বাড়িতে সেখানে দেখেছি অভাবের মাঝে মানুষগুলো সাবলীল হাসিটা ঠিকই ধরে রেখেছে।

দিনাজপুর

গ্রাম বাংলা এই খেলাগুলো প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে।

 

মানত আছে বলে শিশুটির চুল কাটা হচ্ছে না, আসছে ফাল্গুনে কাটা হবে।
চিরচেনা গ্রামবাংলা, ছবিটি দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার নিংগারীগাঁও গ্রাম থেকে তোলা।

 

গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে বৃদ্ধ মানুষ।

বেশিরভাগ বাড়িঘরই এমই জীর্ণশীর্ণ।
সকাল বিকাল গ্রামের এ দোকানটিতে চা-নাস্তার আড্ডা বসে।

 

দোকানে টিভি থাকলে আড্ডা জমে ভালো। চা বিক্রি হয় বেশি।

 

সকাল নয়টা বাজে, তারপরেও এরকম ঘন কুয়াশায় ঢাকা রয়েছে গ্রামটি।

 

শীতে শুধু মানুষ নয়, গরুগুলোও কষ্টে থাকে।
গ্রামের অনেকে গরুর পাশাপাশি ছাগল পোষে।
পাটের সুতলী দিয়ে কার্পেট বুনছেন গ্রামের একজন নারী।
বিরলী
বোনা কার্পেটের ফালিগুলো জোড়া দেয়ার কাজ করছেন তিনি। অর্ডার দিলে চাহিদামাফিক সুন্দর রঙীন কার্পেট বানিয়ে দিতে পারেন তাঁরা।
শিবার মতো অনেক মেয়ে সাইকেল চালিয়ে স্কুল কলেজে যায়। এখানে অবশ্য সে কম্বল বিতরণের কাজে সহায়তা করছে।
গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে অন্তত একটি লিচু গাছ দেখা যায়। আবার এমন বাড়িও অবশ্য আছে যাদের সেটিও নেই।
বেশিরভাগ পুকুরগুলো সেখানে ডোবা ধরনের, তবে এরকম দুএকটি বড় পুকুরও দেখা যায়। শীতকালে পুকুরে পানি থাকে খুব কম।
দাদু ও নাতি।

 

যতই শীত থাক অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমোতে অভ্যস্ত নয় গ্রাম বাংলার মানুষ।
গ্রামের মানুষ দোকানে বসে ছোলা মুড়ি খাচ্ছে সকালে উঠে।

 

মাঝে মাঝে এরকম দুএকটি পাকা বাড়িও রয়েছে।

 

ওর নাম লুইপা। বয়স, ৭ বছর, পড়ে চতুর্থ শ্রেণিতে।
অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি মাঠে চাষ করা হয় আম্রপালি জাতের আম।
মাঠে আম গাছের মধ্যে করা হয়েছে সরিষার চাষ।


আপনার গ্রাম নিয়ে এরকম একটি ছবি ব্লগ তৈরি করতে পারেন আপনিও, রয়েছে পুরস্কার

সর্বোচ্চ ৫০টি ছবি থাকতে পারে সেখানে। প্রতিটি ছবিতে একটু বর্ণনা থাকা দরকার। সেরা ব্লগটি (৩টি) বছর শেষে পুরস্কার পাবে। সেরা নির্ধারিত হবে তিনটি মানদণ্ডে। যেমন,

১। ৩৬৫ পয়েন্ট এক্ষেত্রে। বছরের প্রথম দিন যে পাঠিয়েছে সে ৩৬৫ পয়েন্টই পাবে, যে বছরের শেষ দিন পাঠাবে সে এখানে এক পয়েন্টও পাবে না। অর্থাৎ আগে পাঠানোটাও গুরুত্বপূর্ণ।
২। বিচারক প্যানেলের বিচার হবে ১০০০ পয়েন্টের ওপর।
৩। ফেসবুক শেয়ারে ১০০০ পয়েন্ট।
এই মোট ২৩৬৫ পয়েন্টের ওপর জয় পরাজয় নিশ্চিত হবে।

পুরস্কার হিসেবে থাকবে একটি ইন্টারন্যাশনাল ট্যুর এবং একটি ক্যামেরা। আপাতত যে স্পন্সরের প্রতিশ্রুতি আছে তাতে আমরা নেপাল ট্যুর মাথায় রাখছি। আরও স্পন্সর পেলে খুব উন্নত মানের ক্যামেরাই দেয়া হবে।

বিচাররক প্যানেল ১০০০ পয়েন্টে বিচার করবে মোট দশটি বৈশিষ্ট্য মাথায় রেখে। ছবির কারিগরি দিক খুব বেশি বিবেচিত না হলেও, ছবিটি স্পষ্ট হতে হবে। ছবির একটা মিনিমাম রেজুলুশন (ঘনত্ব) থাকতে হবে, যাতে একটু বড় করলেই ছবিটি ফেটে না যায়।
মূল বিবেচনার বিষয়, ছবির বিষয়বস্তু। ছবিটির কোনো বিশেষ মানে থাকতে হবে এমন নয়, তবে হযবরল কিছু ছবি পাঠালেও হবে না। এটা ঠিক যে আপনার পাঠানো সবগুলো ছবি হয়ত বিষয়বস্তুর দিক থেকে খুব প্রসাঙ্গিক নাও হতে পারে, তবে উদ্দেশ্যটা আপনাকে বুঝতে হবে।
যথাসম্ভব আপনার গ্রমাটিকে আপনার ‍তুলে ধরতে পারতে হবে ছবিতে। হতে পারে আপনি আপনার গ্রামের যেকোনো একটি দিকের প্রতি আলোকপাত করেছেন, অথবা সামগ্রিকভাবেও আপনি ছবি তুলে পাঠাতে পারেন।
বিচারের দশটি মানদণ্ডের মধ্যে আরেকটি ‍উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, ছবিটি অবশ্যই এমন হতে হবে যেটি দ্বারা আপনার গ্রামকে চেনা যায়, অর্থাৎ ছবিটি দেখে ঐ গ্রামের একজন মানুষ বলতে পারবে যে এটি এই গ্রামেরই ছবি।
সব ছবি মানুষের হতে হবে, অবশ্যই এমনটি না। প্রাকৃতিক দৃশ্য, অবকাঠামো এবং পশুপাখিও আপনার ছবির বিষয়বস্তু হতে পারে।
সাথে আপনি গ্রামটির উপর একটি সর্বোচ্চ ৫মিনিটের ভিডিও পাঠাতে পারেন। এটি অতিরিক্ত হিসেবে বিবেচিত হলেও গুরুত্বহীন নয়।

শেয়ারে যে ১০০০ নম্বর, সেটির হিসেব খুব সহজ। যে ব্লগটির সবচেয়ে বেশি শেয়ার হবে, সে সংখ্যাটি দিয়ে ১০০০ কে ভাগ করলে প্রতিটি শেয়ারের পয়েন্ট মান পাওয়া যাবে, যা থেকে প্রত্যেকের এই ক্যাটাগরির পয়েন্ট নির্ধারিত হবে।

ছবি পাঠানোর ঠিকানা:
[email protected]
0179 49 13584

বিদ্র: ০১, ০২ ,০৩ -এভাবে ছবিগুলোতে নম্বর দিতে হবে। এটা এরকম- ০1.jpg …
এরপর একটি ডকুমেন্ট ফাইলে ক্যাপশন লিখে পাঠাতে হবে। ছবির ক্রম অনুযায়ী ক্যাপশন লিখতে হবে।

প্রতিযোগিতা বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তবে যেকোনো মতামত সানন্দে গ্রহণ করা হবে।

বিদ্র: এই ব্লগটি প্রতিযোগিতার অন্তর্ভুক্ত নয়। পত্রিকা সংশ্লিষ্ট কেউ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে না।

Next Post

আঠারো: সদস্য সংগ্রহ চলছে

আঠারো  প্রধানত একটি শিশু কল্যাণমূলক সামাজিক সংগঠন। পাশাপাশি আঠারো বিভিন্ন সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় সংকটকালীন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। ২০০৯ সালে দিব্যেন্দু দ্বীপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেছিলেন মেহেদি সুলতানা, বিপুল কুমার, কাজী সাব্বির আহমেদ অনিন্দ্য, নির্মল চন্দ্র গোপ, আফরিন আক্তার, জাহাঙ্গীর আলম সুর, […]

এগুলো পড়তে পারেন