পাকা চাল কুমড়োর গুণাগুণ এবং যেভাবে খাবেন

follow-upnews
1 0

পাকা চালকুমড়ো এবং মাশকলাই ডালের বড়ি খুব উপদেয় খাবার, সুস্বাদুও। যেহেতু পাকা কুমড়োয় প্রচুর আঁশ রয়েছে তাই এটি পেটের জন্যও ভালো। তবে খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে।


চাল কুমড়া
পাকা চাল কুমড়োর উপকারিতা:
১. চাল কুমড়া এন্টি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট হিসাবে পেট এবং অন্ত্রের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।
২. এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ইনফেকশন বা আলসার রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এটি মসলাযুক্ত খাবার বা দীর্ঘদিনের জন্য উপবাসের কারণে পাকস্থলিতে তৈরি হওয়া এসিড দূর করতে সাহায্য করে।
৩. চাল কুমড়া মানসিক রোগীদের জন্য পথ্য হিসেবে কাজ করে, কারন এটি ব্রেইন এর নার্ভ ঠাণ্ডা রাখে। এই জন্য চাল কুমড়াকে ব্রেইন ফুড বলা হয়।
৪. চাল কুমড়া শরীরের ওজন ও মেদ কমাতে অনেক উপকারি একটি সবজি। এটি রক্ত নালীতে রক্ত চলাচল সহজতর করে। চাল কুমড়া অধিক ক্যালরি যুক্ত খাবারের বিকল্প হিসেবেও খাওয়া যায়।
৫. মুখের ত্বক এবং চুলের যত্নেও চাল কুমড়ার রস অনেক সাহায্য করে। চাল কুমড়ার রস নিয়মিত চুল ও ত্বকে মাখলে চুল চকচকে হয় এবং ত্বক সুন্দর হয়, বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করতেও চাল কুমড়া সাহায্য করে।
৬. গ্যাস্ট্রিক রোগের উপশম করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপায় চাল কুমড়া খেলে অনেক উপকার হয়।
৭. পাকা চাল কুমড়ো খেলে কৃমি কমে। আমাশয় কমে। কাঁশি কমে।
 
বড়ি যেভাবে বানাবেন

প্রথমে কুমড়ো কাটবেন, ছিলবেন, ভেতর থেকে বিঁচি এবং হাবাজাবা বের করে ফেলবেন। এরপর ঘসতে হবে, ঘসে ঘসে স্তুপ বানায়ে চিপড়ায়ে পানি ফেলে দিতে হবে ভালো করে। এরপর ধুয়ে ফেলতে হবে, যাতে টক না হয়, কারণ, পাকা কুমড়ো একটু টক হয়। অপরদিকে মাশকলাই ডাল ৬/৮ ঘণ্টা ভিজিয়ে নরম করে বেটে নিবেন। ভালো করে বাটতে হবে, বাটা ডালেই সবচে ভালো হয়, পেরে না উঠলে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন, আঠালো আঠালো করতে হবে, পাতলা করা যাবে না। এরপর একটা পাত্রে ডাল:কুমড়ো = ১: ১ অথবা ডাল:কুমড়ো = ২:১ (আপনার পছন্দ) নিয়ে অনেকক্ষণ ফ্যানাতে হবে, যখন প্রচুর বাতাস মিশে জিনিসটা হালকা হয়ে যাবে এরপর বড়ি বড়ি আকারে পাতলা কাপড়ে দিয়ে রোদে দিতে হবে। ভালো রোদ হলে তিন রোদ লাগে শুকোতে। প্রথম রোদ ভালো না হলে বড়ি নষ্ট হবে, তখন স্বাদ নষ্ট হবে।


সিজনের সময় একজন কৃষককে বলেছিলাম, আপনি ৫/১০টাকা দরে কাঁচা কুমড়ো বিক্রি (পাইকাড়ি) না করে অন্তত একশো কুমড়ো পাকান। দায়িত্ব আমি নিলাম। ঠিকই সে একশো কুমড়ো পাকিয়েছে। এ পর্যন্ত আমি ব্যবহার করেছি ১২টা। আরও আমাকে ব্যবহার করতে হবে ৩৮টা। ৫০টা তার নিজ দায়িত্ব।

আমি যেটা করছি, তার কাছ থেকে কুমড়ো এনে মাশকলাই ডাল কিনে গ্রামের কয়েকজন নারীকে দিয়ে দিচ্ছি। তারা বড়ি বানিয়ে দিচ্ছে। আমি আবার সেগুলো বন্ধু বান্ধবকে খাওয়াচ্ছি … খাওয়াচ্ছি মানে বিক্রি করচ্ছি। কিন্তু এভাবে তো আর হবে না। মানুষকে অর্গানিক খাবারে অভ্যস্ত করা আমার উদ্দেশ্য। 
পাকা চাল কুমড়ো এবং মাশকলাই ডালের বড়ি নিতে যোগাযোগ করুন: ০১৭৯ ৪৯ ১৩ ৫৮৪।
Next Post

’এক বিষণ্ণ রোববারে’ কাব্যগ্রন্থ থেকে

নিলামে ডাক দিয়ে হৃদয় কেনার বিত্ত আমার ছিলো না কোনোদিন, এখনও তা নেই। আজন্ম দরিদ্র আমি চিরকাল দরজায় দাঁড়িয়ে শুনেছি বিত্তের লড়াই-এর শব্দ, সোনার হাতলে কোহিনুর কারুকাজ– ঠিকরানো আলোয় অন্ধ হয়েছি বারবার– নিলামের এক-দুই-তিন শেষ হলে প্রতিবারই থেমেছে হৃদয়ের ঘড়ি এক নিশ্চিত প্রিয়-বিচ্ছেদ বেদনায়। আজন্ম প্রেমিক তবু অপেক্ষায় থাকি ‘অনিবার্য […]
এক বিষণ্ণ রোববারে